প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যে যারাই সরকারের বিরোধিতা করবে, তাদের আন্দোলনেই পুলিশ দিয়ে তাদের বিরক্ত করা থেকে শুরু করে মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদের কণ্ঠরোধ করার প্রচলন শুরু হয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলে। বারবার পুলিশের অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে বিরোধী দল থেকে শুরু করে প্রতিবাদী মানুষজন কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে জয় নিয়ে এসেছেন। আর বর্তমানে বিকাশ ভবনের সামনে পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা চাকরিহারাদের যখন পুলিশের পক্ষ থেকে নোটিশ করা হয়েছিল, তখন সেই বিষয়েই তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়। আর এবার আদালতের পক্ষ থেকে সেই পুলিশের ক্ষমতা খর্ব করে বড় নির্দেশ দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত, এদিন আন্দোলন কারীদের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের যাওয়া হয়। আর সেখানেই পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে তারা অভিযোগ করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বড় নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারী এবং এফআইআরে নাম থাকা শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না পুলিশ। আর এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই রীতিমতো উজ্জীবিত আন্দোলনকারী শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা।
তাদের বক্তব্য, আন্দোলন নিয়ে বিচার ব্যবস্থা একাধিক নির্দেশ দিয়েছে। তবে সবথেকে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ এবং সাধুবাদ জানানোর মত বিষয় যে, পুলিশ যেভাবে এই আন্দোলনের কণ্ঠরোধ করতে চাইছিল, তা পুরোপুরি ভেস্তে গিয়েছে। সেখানে পুলিশ যেভাবে আন্দোলনকারীদের মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তা ভণ্ডুল করে দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, আপাতত কারও বিরুদ্ধে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে আরও একবার আদালতে চরম ধাক্কা খেলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। পুলিশ দিয়ে বারবার করে গায়ের জোরে মিথ্যে মামলা করে প্রতিবাদীদের আটকানোর চেষ্টা এই রাজ্যে এখন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বারবার আদালত তা অনুভব করে পুলিশের ক্ষমতাকে খর্ব করেছে। আর এবার বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের পক্ষেই নির্দেশ দিয়ে যাদের এফআইআরে নাম রয়েছে, তাদের কারও বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।
আর তার এই নির্দেশের ফলেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, তিনি এই এফআইআর নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করছেন। আর সেই কারণেই তার বাস্তব ভিত্তি কতটা রয়েছে, তা জানতে এবং বুঝতেই আপাতত যে এই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না পুলিশ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। যার ফলে নবান্ন এবং পুলিশের ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।