প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, যারাই এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তাদেরকেই হেনস্থা করা। আরজিকর কান্ডের সময় থেকেই যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনকে মারাত্মক আকার দিয়ে, তার নেতৃত্ব দিয়ে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বেশ কিছু চিকিৎসক। যার মধ্যে রয়েছেন অনিকেত মাহাতো, দেবাশিষ হালদার, আসফাকুল্লা নাইয়ার মত মুখেরা। তাই এবার তো তাদেরকে কাবু করতে হবে! আর তাদেরকে কাবু করতে গিয়েই তাদের পোস্টিং নিয়ে যে কান্ড কলাপ রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর করেছে, তার ফলে এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে টাইট দিতেই দুই চিকিৎসক পৌঁছে গেলে আদালতে।
বলা বাহুল্য, আরজিকর আন্দোলনের সময় যারা প্রথম সারির নেতৃত্ব হিসেবে গোটা রাজ্যের মুখ হয়ে উঠেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম, চিকিৎসক দেবাশিস হালদার এবং আসফাকুল্লা নাইয়া। সম্প্রতি তাদের পোস্টিং ঘিরে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের যে নির্দেশিকা, তাকে কেন্দ্র করে রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়। যেখানে কাউন্সেলিংয়ের সময় এক হাসপাতাল থাকলেও, পরবর্তীতে ফাইনাল লিস্টে অন্য হাসপাতালের নাম দেখতে পান এই দুই চিকিৎসক। যেখানে চিকিৎসক দেবাশিস হালদারকে কাউন্সিলিংয়ের সময় হাওড়া জেলা হাসপাতালের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ফাইনাল লিস্টে মালদহ গাজোল হাসপাতালের সাব ডিভিশনালে তার পোস্টিংয়ের নির্দেশিকা আসে।
একইভাবে চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার ক্ষেত্রেও পোস্টিংয়ের নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। যেখানে দেখতে পাওয়া যায়, প্রথমে তার নাম ছিল আরামবাগ মেডিকেল কলেজে, পরবর্তীতে ফাইনাল লিস্টে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো হাসপাতালে তার পোস্টিংয়ের খবর আসে। আর এই নির্দেশ যে একেবারেই প্রতিহিংসা পরায়ণ, তা বুঝতে বাকি ছিল না আরজিকরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া এই সমস্ত চিকিৎসকদের। তাই এবার আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন তারা।
জানা গিয়েছে, এদিন এই পোস্টিংয়ের বিরুদ্ধেই আদালতে পৌঁছে যান দুজন চিকিৎসক। যেখানে তাদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, আগামী জুন মাসের ৫ তারিখে তাদের এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চ পার্থ সারথী চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে।একাংশ বলছেন, রাজ্য ভেবেছিল যে, এই সমস্ত নির্দেশিকা নিয়ে হয়ত চুপচাপ মুখ বুজে থাকবেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এবার রাজ্যের চাপ বাড়িয়ে যেভাবে তারা আদালতের শরণাপন্ন হলেন, তাতে তৃণমূল সরকারের যদি কোনো ত্রুটি থাকে এর পেছনে এবং কোনো প্রতিহিংসার পর্দা ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে মুখে বড়সড় ঝামা ঘষা পড়বে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।