প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের আমলে পুলিশ যেভাবে প্রতিবাদীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে, তা নিয়ে একাধিক চিত্র সামনে এসেছে। তবে রাজ্যের চুরি, দুর্নীতির কারণে যখন কিছু যোগ্য ব্যাক্তিদেরও চাকরি চলে গিয়েছে, যখন তারা রাস্তায় নেমেছে, তখন সেই শিক্ষকদের ওপর পুলিশের এ কোন দাদাগিরি? তবে নিজেদের যোগ্যতাকে নষ্ট করে দেওয়া সরকারের মুখে রীতিমত ঝামা ঘষে আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক বুঝিয়ে দিলেন, তারা আর কিছুর পরোয়া করেন না। যে রাজ্যের পুলিশের চোর ধরার কথা, তারা এখন চোরেদের বাঁচিয়ে যারা নিজেদের চাকরি চলে গেছে কিছু দুর্নীতির কারণে, তাদেরকে ধরতে ব্যস্ত বলে সরাসরি এই রাজ্যের প্রশাসনকেই একেবারেই চরম শিক্ষা দিয়ে দিলেন।

ইতিমধ্যেই সকলে জেনে গিয়েছেন যে, গতকাল পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী মত আজ শিয়ালদহ থেকে নবান্ন পর্যন্ত একটি অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে সকাল থেকেই তারা যাতে জমায়েত করতে না পারেন, তার জন্য পুলিশের পদক্ষেপ ছিল নজিরবিহীন। একের পর এক চাকরিহারা ব্যক্তি দেখলেই তাদেরকে ধরে নিজেদের গাড়িতে তুলতে শুরু করে পুলিশ। আর এই আন্দোলনেরই অন্যতম মুখ চিন্ময় মন্ডলকে ধর্মতলা থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পুলিশ প্রিজন ভ্যানে তুলতেই সেই যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশটাও যেন খুলে দিলেন।

এদিন পুলিশ চিন্ময় মন্ডলকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় গ্রেফতার করেন, যাতে তিনি এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দিতে না পারেন, তার জন্য আগেভাগেই তার কন্ঠরোধের প্রচেষ্টা শুরু করে এই রাজ্যের দলদাস প্রশাসন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই প্রিজন ভ্যানে উঠতে উঠতে প্রতিবাদী চিন্ময় মন্ডল বলেন, “আপনারা তো আমাদেরকেই গ্রেফতার করবেন। আর চোরদেরকে পুষে রেখে দিন।” আর এখানেই একাংশ বলছেন, পুলিশের গ্রেফতারিতে আর কেউ ভয় পায় না। এই রাজ্যের পুলিশ যে তৃণমূলের দলদাস, সেটা সকলেই জানে। কাজেই তারা যে প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করবে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু একেবারে পুলিশের মুখের সামনে যেভাবে দুর্নীতিকে এই রাজ্যের সরকার আশ্রয় দিচ্ছে এবং যারা চুরি করছে, তাদেরকে লালন পালন করছে, সেই ব্যাপারেই চেঁচিয়ে উঠলেন প্রতিবাদী যোগ্য চাকরিহারা চিন্ময় মন্ডল। আর এতে যদি বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকে, যদি শিক্ষকদের কাছ থেকেই পড়াশোনা করে শিক্ষিত হয়ে থাকেন এই পুলিশ কর্মীরা, তাহলে তাদের ভবিষ্যতে আর কোনো যোগ্য চাকরিহারাদের ওপর নির্যাতন চালাতে কিছুটা হলেও বিবেকে বাঁধবে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।