প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২১ এ বহু চেষ্টা করেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি। হয়ত বিজেপি আগের থেকে আসন বেশি পেয়েছে। হয়ত তাদের ভোট বেড়েছে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার যে লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের ছিল, তা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপির ভঙ্গুর দশা নিয়ে দলের মধ্যেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। অনেকে বলছেন, এই অবস্থায় বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃনমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করবে কি করে? শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতা আবার শুধুমাত্র হিন্দু ভোটের ওপর ভরসা রাখছেন। তবে কোনো নির্দিষ্ট জনজাতির ভোটের ওপর ভরসা না রেখে জেতাটাই যে প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত এবং যে কোনো মূল্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সরিয়ে ২০২৬-এ নবান্ন দখল করাই যে প্রধান টার্গেট, তা স্পষ্ট ভাষায় বঙ্গ বিজেপিকে জানিয়ে দিলো আরএসএস।
বলা বাহুল্য, সম্প্রতি কালীগঞ্জ বিধানসভায় আবার একটা ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এমনিতেই উপনির্বাচন। আর উপনির্বাচনে শাসকের পক্ষেই রায় যায়। সেদিক থেকে বিজেপি এখানে জিততে পারেনি। তবে শুভেন্দু অধিকারী ভোটের ফলাফলের পরেই যে সমস্ত জায়গায় হিন্দু বুথ রয়েছে, সেখানে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে বলে দাবি করছেন। তাই হিন্দুদের একত্রিত করলেই বিধানসভায় জয়লাভ করা সম্ভব বলে বুঝিয়ে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু এই জায়গাতেই কিছুটা ভিন্নমত আরএসএসের। তাদের স্পষ্ট বার্তা, সামনেই ২০২৬ এর নির্বাচন। তাই সেই নির্বাচনে যেভাবেই হোক, সরকার গঠন করতে হবে।
আরএসএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “জিততে হবে। হেরে গেলে চলবে না। কোন বুথে হিন্দু ভোট বেশি পেলাম, তাতে এখন কোনো লাভ নেই। কয়েক মাস বাকি বিধানসভার ভোট। তাই ওই সব হিসাবের কোনো দাম নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য, ২৬ এ সরকার গঠন করা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে আমরা জিততে পারিনি, এটাই শেষ কথা। ওই হিন্দু ভোটের হিসাব দেখিয়ে আসল বিষয় থেকে পালালে চলবে না।” অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, আরএসএস কিন্তু বাংলা দখল করার ব্যাপারে অত্যন্ত সিরিয়াস। তাই হিন্দু ভোট কোথায় কত রয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি কবে জিতবে, তার আশায় না থেকে ২৬ এর ভোটে জিততে যত পরিশ্রম দেওয়া যায়, সেই সমস্ত পরিশ্রম দেওয়ার জন্য এখন থেকেই বঙ্গ বিজেপিকে আরও শক্তিশালী হওয়ার বার্তা দিচ্ছে আরএসএস। তবে সংঘের এই বার্তাকে কার্যকরী করে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কোন গোপন মন্ত্রে নবান্ন থেকে মমতাকে সরাতে সচেষ্ট হয় গেরুয়া শিবির, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।