প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীরা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসকে দায়ী করেছেন। আর সেই হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ৩ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটির দেওয়া রিপোর্ট সামনে আসতেই রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
যেখানে এই হিংসার ঘটনায় তৃণমূল নেতা মেহেবুব আলমকে দায়ী করা হয়েছে। যদিও বা তিনি তা অস্বীকার করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলেরই এক সংখ্যালঘু বিধায়ক যে কথা বললেন, তাতে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, মুর্শিদাবাদের এই হিংসার ঘটনা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে তৃণমূলের কাছে।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ৩ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে তৃণমূল নেতা মেহেবুব আলমকে দায়ী করা হয়েছে। আর সেই বিষয় নিয়েই এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। যেখানে তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট ভাষায় উঠে আসে যে, এই হিংসার ঘটনায় আগামী নির্বাচনে প্রভাব পড়বে ভোট বাক্সে।
এদিন তিনি বলেন, “বহু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রশাসনের ওপর মানুষের প্রবল ক্ষোভ রয়েছে। ৬৫ টা কেস হয়েছে, তাতে ৩০০ এর বেশি গ্রেপ্তার। এখনও কয়েক হাজার মানুষ এলাকায় থাকতে পারছে না। এর কিছুটা প্রভাব ভোটে পড়বে বলে আমি মনে করি। প্রার্থী বদল করলে কিছুটা হলেও ড্যামেজ কন্ট্রোল সম্ভব। কারণ তৃণমূলের জন প্রতিনিধিদের ওপর মানুষের প্রবল ক্ষোভ রয়েছে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্ত কথা তো বিরোধীদের মুখে সাজে। কিন্তু তৃণমূল যে সংখ্যালঘুদের ওপর ভিত্তি করে ভোট বৈতরুণী পার করার স্বপ্ন দেখছে, সেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরই একজন বিধায়ক, তিনি যদি মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে এইরকম মন্তব্য করেন, তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে যে, আগামী নির্বাচনে ঠিক কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস!
হিন্দু, মুসলিম এই সমস্ত ধর্ম অনেক পরের কথা। বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে মুর্শিদাবাদের এই ঘটনা যে কেউ মেনে নিতে পারেননি, তা স্পষ্ট হয়ে গেল তৃণমূলের মুর্শিদাবাদেরই এই সংখ্যালঘু বিধায়কের মন্তব্যে। যার ফলে এই ঘটনা আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।