প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গোটা রাজ্যের মানুষ দেরিতে বুঝলেও তৃণমূলের বুজরুকির খেলা অনেক আগেই বুঝে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গের মানুষ। বিরোধীদের এই দাবির মাঝেই ২০১৪ এর লোকসভা নির্বাচন থেকেই উত্তরবঙ্গে ধীরে ধীরে ফুটতে শুরু করেছিল পদ্মফুল। ২০১৯ থেকে তা গেরুয়া বাগানের রুপ নেয়। ২০২১ এ ও উত্তরবঙ্গে বিজেপির অভাবনীয় ফলাফল হয়েছে। ‌ আর সামনেই যখন ২০২৬, তখন সেই উত্তরবঙ্গ কার পক্ষে যাবে, তা নিয়ে চর্চার মাঝেই উত্তরবঙ্গ সফরে থাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেদিনই শিলিগুড়িতে তেরঙ্গা যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বড় দাবি করে বসলেন শুভেন্দুবাবু। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এবার উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপি ভাবে ৫৬ টি আসন এবং তৃণমূল পাবে ২ টি আসন। আর রাজ্যের শাসক দল, যাদের এত প্রভাব, এত প্রতিপত্তি, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গকে ভালোবাসেন বলে এত প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করছেন, সেই দল কিনা উত্তরবঙ্গ থেকে পাবে মাত্র দুটি আসন! একি বলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং, মালদহ থেকে দিনাজপুর, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এই সমস্ত জেলায় অভাবনীয় ফলাফল করেছে। কোচবিহারের ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭ টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিংয়ের সবকটি আসনই পেয়েছে তারা। অন্যদিকে জলপাইগুড়ির ৭ টি আসনের মধ্যে ৫ টি, মালদহে ৪ টি, উত্তর দিনাজপুরে ৩ টি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩ টি আসন নিজেদের ঝুলিতে রেখেছে গেরুয়া শিবির। আর তখন যে পরিস্থিতি ছিল, তার থেকে এখন বিজেপির পক্ষে এবং অনুকূলে অনেক ভালো পরিস্থিতি রয়েছে উত্তরবঙ্গে। তাই সেখানকার মাটির গন্ধ বুঝেই শুভেন্দু অধিকারী এতটা নিশ্চিত হয়ে বলে দিলেন যে, উত্তরবঙ্গে এবার আরও কোণঠাসা হতে চলেছে তৃণমূল।

স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যে উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের ডালি নিয়ে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে যে চিন্তার ভাঁজ পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত অনেকেই। কিন্তু ভোটের বাক্স খোলার পরেই বোঝা যাবে, কে কতটা গেনার। তাই বাস্তব বুঝে শুভেন্দু অধিকারী পরিসংখ্যান দিলেন ঠিকই, কিন্তু সেই পরিসংখ্যানকে মিথ্যে করে উত্তরবঙ্গের মাটিতে ঘাসফুল ফোটানোর জন্য মমতার কোনো প্ল্যানিং কাজ করে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।