প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে অনুপ্রবেশ এবং রোহিঙ্গা এবং জামাতে ভরে গিয়েছে বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করে বিরোধীরা। প্রতারণা চক্রও প্রত্যেকটি জায়গায় সক্রিয় বলেও দাবি করে তারা। বিভিন্ন সময়ে সেই রকম তথ্যও সামনে এসেছে। আর এবার ঝাড়খণ্ডের জামতারা গ্যাংয়ের তিনজন প্রতারক বর্ধমান শহরে দীর্ঘদিন ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকলেও, কেউ ঘুনাক্ষরেও তা টের পায়নি। এমনকি এই রাজ্যের গুণধর পুলিশ বা সেই জেলার পুলিশও সেই সম্পর্কে কিছুই জানত না। তবে এবার সেই প্রতারকদের গ্রেপ্তার করল দিল্লী পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দিল্লির সেক্টর আর কে পুরম এলাকায় গত ১২ মে লক্ষণ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তির কাছে দিল্লির জল বোর্ড থেকে একটি মেসেজ পাঠানো হয়। যেখানে জানানো হয় যে, তার মিটার যদি আপটুডেট না করা হয়, তাহলে তার জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে তাকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হলে তিনি সেই কাজ সম্পন্ন করেন। এরপর তার কাছে ব্যাংকের তথ্য চাওয়া হলে তিনি সেটাও দিয়ে দেন। আর তারপরেই সেই লক্ষণবাবুর ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৩৮ হাজার টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা। পরবর্তীতে লক্ষণবাবু সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বর্ধমানে গা ঢাকা দিয়ে থাকা তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এই তিন প্রতারক রবি মন্ডল, রমেশ কুমার মন্ডল এবং মহেন্দ্র কুমার মন্ডল। যেখানে তারা প্রত্যেকেই ঝাড়খন্ড জেলার বাসিন্দা বলে খবর। মূলত, এই প্রতারকরা জামতারা গ্যাংয়ের সদস্য বলেও জানা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এই প্রতারণা চক্রে জড়িত। তবে বাংলাকে নিরাপদ ভেবে যেভাবে বর্ধমানে একটি ভাড়া বাড়িতে নিশ্চিন্তে ছিল এই তিন প্রতারক, তাতে বাংলার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি কতটা বিপদমুখী হতে চলেছে, সেই সম্পর্কেও প্রবল চিন্তা তৈরি হয়েছে রাজ্যবাসীর মধ্যে।
ইতিমধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির সবদরজং এনক্লেবের সাইবার থানার পুলিশ। যেখানে ধৃতদের বর্ধমান সিজিএম আদালতে তোলা হলে দিল্লী পুলিশের পক্ষ থেকে ৯৬ ঘন্টার ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। যে আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিল্লী পুলিশ এসে এই প্রতারকদের ধরে নিল, কিন্তু বাংলায় সেই প্রতারকরা ঢাকা দিলেও, কেন নিজের রাজ্যের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্থানীয় পুলিশ আগেভাগে খোঁজ রাখতে পারল না? কেন তাদের কাছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য পায় না! তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রাজ্য অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে গিয়েছে? বাইরের রাজ্যের যারা অপরাধমূলক কাজ করে বেড়ায়, তারা সব থেকে বেশি নিরাপদ ভাবছে পশ্চিমবঙ্গকে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।