প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দল, বিশেষ করে বিজেপি, দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছে যে, বাংলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করা প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে কমিশনকে আলাদাভাবে বাংলার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। ইতিমধ্যেই ভুয়ো ভোটার থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলার ভোটার লিস্টে জায়গা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। যার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নিতেই রীতিমত তৃণমূলের ঘুম উড়ে গিয়েছে বলে দাবি তাদের। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানিয়েছে। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশন বিহারের পর বাংলার ক্ষেত্রেও নির্বাচনের আগে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আর তার মধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ শুরু হতেই এবার শাসকের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের নেতারা দাবি করছেন যে, নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি বাংলা দখল করার চক্রান্ত করছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল তাদের দাবি জানিয়েছে। আর সেসবের মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের গোপন ভোটব্যাংক সম্পর্কে বলতে গিয়ে যে তথ্য ফাঁস করলেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, সত্যিই যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে, আর সত্যিই যদি নিজেদের ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করতে তৃণমূল এই কাজ করে থাকে, তাহলে তো তা বাংলার জন্য অত্যন্ত বিপদজনক বলেই দাবি একাংশের। কিন্তু ঠিক কি বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?
এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে ভুয়ো ভোটার, রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাম বাদ চলে যাবে। আর তাতে তৃণমূলের অসুবিধা হবে। সেই জন্য তারা এই সমস্ত কিছু করছে। মমতা ব্যানার্জির ভোটব্যাঙ্কে ১২-১৪ বছরের বাচ্চাদের নামও রয়েছে। তারা বুঝতে পারছে যে, ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে বিকেল চারটা থেকে ছটা পর্যন্ত যে ছাপ্পা মারা হয়, যেভাবে তারা ভোট করে, এবার সেটা হবে না। সেই জন্য তারা এই সমস্ত কিছু করছে।” একাংশ বলছেন তৃণমূল এখন বিভিন্নভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে বিভিন্ন কথা বলছে ঠিকই তবে প্রশ্ন উঠছে যে নির্বাচন কমিশন তো স্বচ্ছতার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে সেক্ষেত্রে তৃণমূল যদি কোন অবৈধ উপায় অবলম্বন নাই করে থাকবে তাহলে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপে তারা ভয় পাচ্ছে কেন?
গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর কথাই সত্যি। রাজ্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৃণমূল কংগ্রেস ভুয়ো ভোটারদের লালন পালন করছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের রাজ্যে ঢুকিয়ে নিজেদের ক্ষমতার আধিপত্য নিশ্চিত করতে চাইছে এই রাজ্যের শাসক দল। তবে সেটা এবার আর নির্বাচন কমিশন হতে দেবে না। তারা বাংলার জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বাংলার মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দান করতে পারেন এবং কোথাও যাতে ভোটের ক্ষেত্রে জল মেশাতে না পারে তৃণমূল কংগ্রেস, তার জন্য নেওয়া হচ্ছে একাধিক ব্যবস্থা। আর সেই বিষয়টি টের পেতেই তৃণমূলের এই ছটফটানি বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।