প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় হঠাৎ করেই ভুলবশত পাকিস্তানে প্রবেশ করেন বাঙালি জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। তারপর দীর্ঘদিন তিনি সেখানে ছিলেন। তার জন্য উৎকণ্ঠায় ছিল গোটা বাংলা তথা ভারত। কবে তিনি ফিরে আসবেন, তা নিয়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরাও নিজেদের মত করে চেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে কিছুদিন আগে ভারতের চাপের কাছে পড়ে পাকিস্তান সেই বাঙালি জওয়ানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ইতিমধ্যেই তিনি রিষড়ায় তার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন। আর এবার দিদির রাজ্যে বসেই মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়, এমনটাই বুঝিয়ে দিয়ে খেলা জমিয়ে দিলেন বাঙালি জওয়ান পূর্নম কুমার সাউ।

বলা বাহুল্য, পূর্ণম কুমার সাউ বাড়িতে ফেরার পরেই বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতারা তার সঙ্গে গিয়ে দেখা করছেন, তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। আজ তার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই একেবারে সুকান্ত বাবুর সামনে পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বাঙালি যাওয়ার পূর্ণম কুমার সাউ যে কথা বললেন, তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, গোটা দেশের মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছে একমাত্র দেশের সেনাবাহিনীর জন্য। তবে সেনাবাহিনীর অবদানের পাশাপাশি যে মানুষটার সবথেকে বেশি অবদান রয়েছে, তিনি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে শুধু নরেন্দ্র মোদী নন, ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারা ছিলেন বলেই যে এই সমস্ত জাওয়ানরা আরও বেশি করে দেশের জন্য কাজ করার আগ্রহ পান, সেই কথাও শোনা গেল পূর্ণাম কুমার সাউয়ের গলায়।

কি বললেন তিনি? এদিন পূর্নম কুমার সাউ বলেন, “নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ যখন সেনাতে থাকেন, আমাদের সেনাতে একটা গর্ব রয়েছে। ওনারা আছেন মানে আমরা কাজ করার আরও আগ্রহ পাই। ওনারা থাকেন জন্যই আমরা কোনো ভয় পাই না। আমরা দেশের জন্য লড়াই করতে গর্ববোধ করি।” আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই কথা কি তৃণমূল নেতাদের কানে ঢুকছে? এই পুর্নম কুমার সাউকে বাড়ি ফেরানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানও ছিল নিশ্চিতভাবেই। তিনিও তার মত করে চেষ্টা করেছিলেন। তবে দেশ সবার আগে, এটা হয়ত ভুলে যায় তৃণমূল। সবসময় ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। বিভিন্ন সময় বিএসএফের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় এই তৃণমূলের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের। শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে হবে, বিজেপিকে আক্রমণ করতে হবে জন্য সেনা বাহিনীকেও তারা বেলাগাম ভাবে আক্রমণ করেছেন বিভিন্ন সময়।

আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বাংলার মাটিতে বসে এই দিদির রাজ্যে বসে পুর্নম কুমার সাউ যেভাবে গর্বের সহকারে জানিয়ে দিলেন যে, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিংহের মত মানুষরা থাকলে তাদের কাজ করতে কোনো ভয় হয় না, সেখানে এবার কিছুটা হলেও দেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে প্রশ্ন করার আগে এই তৃণমূল এবং তাদের নেতাদের ভাবা উচিত। বোঝা উচিত যে, তারা রাজনৈতিক স্বার্থে যা কিছু বলতে পারেন। কিন্তু যারা বিপদে পড়েন, শত্রু দেশ যদি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে, তখন যে সমস্ত সেনাবাহিনীরা আমাদের দেশ আগলে রাখেন, তাদের কাছে, মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।‌ বাঙালি জওয়ান পুর্নম সাউয়ের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছে গেরুয়া শিবির।