প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পুলিশকে কদর্য আক্রমণের পরেও এখনও পর্যন্ত কেষ্ট মন্ডল বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো কড়া পদক্ষেপ এই রাজ্যের অপদার্থ পুলিশ নিতে পারল না। যার ফলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, তৃণমূল নেতাদের জন্য এই রাজ্যে এক আইন। কিন্তু সাধারণ মানুষ এবং বিরোধীদের জন্য আর এক আইন। তবে পুলিশ নিজেদের কর্মীদের অপমানের পরেও কেষ্ট মন্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলেও, এবার সেই অনুব্রত মণ্ডলের বারোটা বাজিয়ে ময়দানে নেমে পড়লো সিবিআই। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, আবার কি জেলের ঘানি টানতে হবে বীরভূমের কেষ্ট মন্ডলকে?
বলা বাহুল্য, সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের এক পুলিশ কর্তাকে ফোন করে কদর্য আক্রমণ এবং হুমকি দেওয়ার অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। তারপর বহু জল গড়িয়ে গিয়েছে। তাকে বারবার থানায় তলব করা হলেও তিনি হাজিরা দেননি। মনে করা হয়েছিল, তিনি কোর্টে গিয়ে জামিনের আবেদন করবেন। সেটাও এখনও পর্যন্ত করেছেন বলে এরকম কোনো খবর সামনে আসেনি। তবে পুলিশকে যখন হুমকি দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল, তখন তিনি আরও অনেক কিছু করতে পারেন। তাই সেটা বুঝেই এবার বিভিন্ন খোঁজখবর নিতে শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কিন্তু হঠাৎ করে আবার তারা কিসের খোঁজখবর নিচ্ছে?
মূলত, অনুব্রত মণ্ডলের যে দাপট, যেভাবে তিনি পুলিশকে হুমকি দিচ্ছেন, তাতে তিনি আরও অনেক কিছুই করতে পারেন। এটা আশঙ্কা করছে সিবিআই। তাই গরু পাচার মামলায় বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেয়ে বাড়িতে থাকলেও, এই মামলায় যারা সাক্ষী, তাদেরকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে না তো? এই প্রশ্নটা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের মনে ঘোরাফেরা করছে। তাই যারা এই মামলায় সাক্ষী ছিলেন, তাদেরকে ফোন করে অনুব্রত মণ্ডল এবং তার অনুগামীরা হুমকি দিচ্ছে না তো? এই খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে সিবিআই। এক্ষেত্রে হুমকি দিলেই যাতে সাথে সাথে তাদেরকে তা জানানো হয়, সেই কথাও সাক্ষীদের জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাজ্যের পুলিশ যে কতটা অপদার্থ, তা অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে তাদের নিষ্ক্রিয় থাকার মনোভাবেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সামান্য দুটো এফআইআর দায়ের করলেই যে সবকিছু হয়ে যায় না, তা হয়ত এই রাজ্যের পুলিশ বুঝতে পারছে না। আসলে ওপরতলার নির্দেশ না থাকলে তো তারা কাজ করতে পারবে না। আর সেই কারণেই অনুব্রত মণ্ডল পুলিশের এক কর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়ার পরেও এই পুলিশের বিবেক নাড়া দিচ্ছে না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে পুলিশ চুপ করে বসে থাকলেও, সিবিআই কিন্তু তাদের কাজ করে যাচ্ছে। তাই গরু পাচার মামলায় যারা সাক্ষী, তাদের মনে সাহস যুগিয়ে তাদের যাতে কোনোরূপ হুমকি অনুব্রত মণ্ডল এবং তার অনুগামীদের পক্ষ থেকে না আসে এবং এলেই যাতে সাথে সাথে সিবিআইকে জানানো হয়, তা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ফলে পুলিশ অ্যাকশন না নিলেও, কেষ্ট মন্ডলের বিরুদ্ধে কিন্তু হুমকির অভিযোগ পেলেই কড়া অ্যাকশন নেবে সিবিআই বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।