প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারতে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, তার পাল্টা পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছে ভারত। গোটা দেশ গর্বিত। কারণ, পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া গিয়েছে মুখের মত। কিন্তু বিজেপি মাঝেমধ্যেই বলে যে, যেমন ঝাড়, যেমন বাঁশ। এক ঝাড়ে তো আলাদা বাঁশ হয় না। ঠিক তেমনই কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছিলেন, আরে এবার আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে সেই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি যে কথার তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, তারপর বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এদের মত দেশবিরোধী আর কেউ নেই।
প্রথমে আসা যাক যে, ঠিক কি বলেছেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়? এদিন অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রশ্ন তুলে শ্রীরামপুরের এই সাংসদ বলেন, “অপারেশন সিঁদুর করতে হলো কেন? অপারেশন সিঁদুর করতে হলো ওদের ব্যর্থতার জন্য তো। ওরা ব্যর্থ ছিল, সেদিন জঙ্গিদের আটকাতে পারেনি। সেজন্য মানুষের চিন্তা ভাবনাগুলোকে ডাইভার্ট করার জন্য অপারেশন সিঁদুর বলেছে।” আর এজন সাংসদ, একজন জন প্রতিনিধির এই ধরনের মন্তব্যের পর বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
বিশেষজ্ঞদের প্রথম প্রশ্ন, অপারেশন সিঁদুর না করলেই কি খুশি হতেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়? পাকিস্তান যে প্রতি মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করে, ভারতকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে, এটা তো তিনি খুব ভালো মতো জানেন। তিনি তো শুধু সাংসদ নন, একজন আইনজীবী, শিক্ষিত মানুষ। ফলে তিনি অপারেশন সিঁদুর করতে হলো কেন, এরকম কথা কেন বলবেন? তাহলে কি তিনি অপারেশন সিঁদুর না করলে বেশি খুশি হতেন? পাকিস্তানের দুঃখে কি তার হৃদয় ফেটে যাচ্ছে! অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের কোমর ভেঙে গিয়েছে বলে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে কি সেই দুঃখে তিনি সমব্যথী? সেই জন্য তার গলায় এরকম কথা শোনা যাচ্ছে? প্রশ্নটা তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি এর সাথে সাথে বিশেষজ্ঞরা আরও একটি বড় প্রশ্ন তুলছেন, সেটা হচ্ছে, দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে দেশের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করতে কি খুব ভালো লাগছে কল্যাণবাবুর? আজকে দেশ সুরক্ষিত সেনাবাহিনীর জন্য। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কল্যানবাবু বড় বড় গলায় সংবাদমাধ্যমের সামনে বলছেন, “এরা ব্যার্থ জন্যেই জঙ্গিরা অ্যাটাক করতে পেরেছে।” তার মানেটা কি? তার মানে তিনি গোটা বিশ্বের সামনে ভারতের ইন্টেলিজেন্স, ভারতের সেনাবাহিনী তাদের ভূমিকাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছেন!
আর এই সমস্ত কথা বলে নিজেকে যেমন গোটা দেশের মানুষের সামনে হাসির পাত্র করে তুলছেন, ঠিক তেমনই গাড্ডায় ফেলছে নিজের দলকেও। বাংলার মানুষ যতই নিজেদের মনকে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করছে যে, না, তৃণমূল কিছুটা হলেও ভালো। কিন্তু ততই এই কল্যাণবাবুদের মত নেতারা তৃণমূলের আসল মুখ আর মুখোশের যে পার্থক্য, সেটাকে জনসমক্ষে নিয়ে চলে আসছেন। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।