প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাকিস্তানকে অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে ভারত। কিন্তু তারপর ভারত আরও একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, এবার যদি তারা আরও বেশি মাতব্বরি করতে আসে, তাহলে তাদের কপালে চরম দুঃখ অপেক্ষা করছে। কিন্তু এতসবের পরেও পাকিস্তানের বড় বড় গলা কম ছিল না। সিন্ধু উপনদী থেকে খাল কাটার তোড়জোড় শুরু হতেই এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করতেই ভারতকে নানা হুমকি দিতে শুরু করে পাকিস্তান। তবে সেই সমস্ত হুমকিকে পরোয়া না করে এবার নরেন্দ্র মোদীর সরকার বিরাট পদক্ষেপ গ্রহণ করলো। যার ফলে মনে করা হচ্ছে যে, আগামী দিনে পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানো তো অনেক পরের কথা, ভারতের এই এক পদক্ষেপেই তাদের কাছে রীতিমত নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর দায় হয়ে উঠবে। কিন্তু কি এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত?

 

জানা গিয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি পাকিস্থানের সঙ্গে স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। আর এবার সেই নিয়ে আরও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিন্ধু অববাহিকার নদীগুলির সংযোগকারীদের যে সমস্ত খাল রয়েছে, তার সমীক্ষা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। মূলত, সিন্ধু নদীর বাঁদিকে যে উপনদী রয়েছে, তার জল যাতে পাক পাঞ্জাবে না যায়, তার জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এর ফলে চরম জল সঙ্কটের মুখে পড়বে পাকিস্তান বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই সমীক্ষা করার পেছনে আরও একটি বড় কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে যে, জম্মু-কাশ্মীরের যে সমস্ত নদীগুলো রয়েছে, এবার বর্ষাকালে তার জল অনেকটাই বেড়ে উঠতে পারে। তাই চন্দ্রভাগা থেকে শুরু করে বিপাশার মত নদীগুলির যে সংযোগকারী খাল, তা যদি কাটা হয়, তাহলে সেই সময় গোটা বিষয়টি মাথায় রেখেই পদক্ষেপ নিতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের। আর তাই তড়িঘড়ি এই সমীক্ষা করা হচ্ছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

 

এদিকে ভারতের জলশক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, সিন্ধু জলচুক্তি যে আইন, তাকে মান্যতা দিয়েই এই নদীগুলির ২০ শতাংশ জল ব্যবহার করতে পারবে ভারত। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী সেটা আরও বাড়তে পারে। এদিন এই প্রসঙ্গে জলশক্তি মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, “খাল কেটে চন্দ্রভাগার জল অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার কাজ মোটেই সহজ নয়। এর জন্য চাই সঠিক মূল্যায়ন। যেখানে ভুল হলে গোটা পরিকল্পনা মাঠে মারা যাবে। এই সমীক্ষার পর বিদ্যমান খালের মধ্যে কোনগুলি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, তার তালিকা তৈরি করা হবে। সেই মত অর্থ বরাদ্দ করবে সরকার।”

 

পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়া নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারত অনেক হুমকি সহ্য করেছে। কিন্তু এবার আর সেই সমস্ত কিছুর পরোয়া করতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারা যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে স্পষ্ট যে, খাল কাটার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। আর যদি এটা পরিকল্পনা মাফিক সম্পন্ন হয়ড় তাহলে আগামী দিনে শুকিয়ে মরা ছাড়া আর কোনো গতি থাকবে না পাকিস্তানের কাছে। আর সেই কারণেই ভারতের এই পদক্ষেপে যত সময় যাচ্ছে, ততই ইসলামাবাদ আরও মরিয়া হয়ে উঠছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।