প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– ভারতবর্ষের জলজ্যান্ত সমস্যা ছিল মাওবাদী সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে এই মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই চলছে সরকারের। তবে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ধীরে ধীরে পাল্টে গিয়েছে পরিস্থিতি। এখন মাওবাদী সমস্যার দিক থেকে ভারতযে অনেকটাই নিশ্চিন্ত, তা সাম্প্রতিককালে এক তথ্য পরিসংখ্যানের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যাকে হাতিয়ার করেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার থেকে এই মাওবাদী সমস্যা নিয়ে আর ঘুমোতে যেতে হবে না সাধারণ মানুষদের।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একটি পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, বিগত ইউপিএ সরকারের আমলে মাওবাদী হিংসার হার ছিল ৮৫ শতাংশ। আর বর্তমানে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তা প্রায় ৭৭ শতাংশ কমেছে। কিন্তু হঠাৎ কিভাবে এলো এই সাফল্য? কোন কৌশলে দীর্ঘদিনের মাওবাদী সমস্যাকে কমিয়ে আনতে সক্ষম হলো নরেন্দ্র মোদী সরকার? একাংশ বলছেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ সরকার মাওবাদীর সমস্যা রোধ করতে বহু চেষ্টা করেছিল। মাওবাদীদের জন্য আর্থ সামাজিক কর্মসূচির কথাও ভাবা হয়েছিল। হিংসা ছেড়ে তারা যাতে স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করে, তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান পর্যন্ত জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও লাভের লাভ কিছু হয়নি।
তবে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে পরিস্থিতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া অ্যাকশন নিতে শুরু করে কেন্দ্র। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, অস্ত্র জমা না দিলে কোনো ভাবেই তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা যাবে না। যার ফলে ধীরে ধীরে নরম হয় পরিস্থিতি। মাওবাদীরা বন্দুক ছেড়ে আলোচনায় আসতে রাজি হয়। শুধু তাই নয়, একসময় যে সমস্ত এলাকায় মাওবাদী উপদ্রব বলে পরিচিত ছিল, সেই সমস্ত এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের মনে বিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে মাওবাদী আতঙ্ককে ভুলে গিয়ে সাধারণ মানুষও এখন সরকারের স্রোতে গা ভাসিয়ে নিজেদের নিশ্চিন্ত মনে করতে পারছেন।
আর এখানেই পর্যবেক্ষকদের মতে, মাওবাদী সমস্যা ছিল ভারতের কঠিন এবং কঠোর সমস্যা। আর সেই সমস্যাকে অতীতের কোনো সরকার ঠান্ডা করতে না পারলেও নরমে গরমে সেই পরিস্থিতিকে অনেকটাই আয়ত্তে নিয়ে এসেছে মোদী সরকার। যার ফলে আগেকার থেকে পরিস্থিতির এখন আকাশ-পাতাল ফারাক। তাই বিজেপির পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, “মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।”