প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গোটা রাজ্যবাসী আজ তাকিয়ে ছিলেন উত্তরবঙ্গে আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদী ঠিক কি বলেন, সেই দিকে। আর নরেন্দ্র মোদী যখন আসছেন, তখন বিজেপি কর্মীরা যে ব্যাপক উজ্জীবিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর বিজেপি কর্মী আলিপুরদুয়ারে নরেন্দ্র মোদীর সভার দিকে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু মোদীকে তারা গুরুত্ব দেন না, মোদী তাদের কাছে ফ্যাক্টর নয় বলে প্রতি মুহূর্তে দাবি করা তৃণমূল একি কাজ করে বসলো? বিজেপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সভার পথে যাওয়ার সময় যেভাবে বাসে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে, তাতে তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলছে গেরুয়া শিবির।

জানা গিয়েছে, এদিন আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার জন্য উত্তরবঙ্গের কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল চোখে পড়ার মত। যেখানে কোচবিহারের পানিশালা থেকে বিজেপি কর্মীরা বাসে করে নরেন্দ্র মোদীর সভার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। অভিযোগ, পথেই তাদের বাসে হামলা করা হয়। এমনকি তাদের বাসের কাঁচ পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়। যার ফলে এই হামলার কারণে আর শেষ পর্যন্ত সভায় আসতে পারেননি কোচবিহার থেকে রওনা দেওয়া বিজেপির সেই সমস্ত কর্মীরা।

তবে নরেন্দ্র মোদীর সভা, বিজেপির সভা, আর সেই সভায় বিজেপি কর্মীরা যাচ্ছেন, সেখানে তাদের বাসে হামলা করলো কে? স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এর পেছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে। কারণ তারা মোদিকে দেখে ভয় পেয়েছেন। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে নরেন্দ্র মোদীর সভায় যাতে বিজেপি কর্মীরা যেতে না পারেন, তার জন্যই পথে এইভাবে বাসে হামলা করে তাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে শাসক দল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতকিছুর পরেও তৃণমূল হয়তো নিজেদের গা থেকে সমস্ত দোষ ত্রুটি ঝেড়ে ফেলার মরিয়া চেষ্টা করবে। তারা বলবে যে, বিজেপি নিজেরাই নিজেদের গাড়িতে হামলা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দোষ চাপাচ্ছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর সভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি কর্মীরা রওনা দিয়েছিলেন। সেখানে পথে তাদের বাসে হামলার ঘটনায় একটাই প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি নিজেরাই কেন হামলা করে নিজেদের সভার ক্ষতি করবে? তারা তো লোক ভরানোর জন্য সেই সভায় যাচ্ছে। সেখানে নিশ্চয়ই তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে না। আর যে রাজ্যে কথায় কথায় সন্ত্রাস, হামলার মত ঘটনা ঘটে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী সভায় বিজেপি কর্মীরা যাওয়ার পথেই তাদের বাসে যেভাবে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে, তাতে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এর পেছনে শাসকের ষড়যন্ত্র রয়েছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।