প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল নরেন্দ্র মোদী উত্তরবঙ্গে যখন সভা করতে এসেছিলেন, তখন তা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছিল গা জ্বালার পর্ব। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণ করলেও, তার আগেই প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। আগে চা বেচতেন, এখন সিঁদুর বেচছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে রুচিহীন ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তিনি। তবে এবার সেই উদয়ন গুহুর এলাকায় যে ঘটনা ঘটে গেল, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, যিনি নিজের এলাকা সামলাতে পারেন না, তিনি কি করে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে এই ধরনের কথা বলেন?

বলা বাহুল্য,গোটা রাজ্য জুড়েই এমনিতেই বাংলাদেশিদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। তবে এবার উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের দিনহাটা থেকে গ্রেফতার করা হলো ২৮ জন বাংলাদেশকে। মূলত, বেশ কয়েক বছর আগেই তাদের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছিল। আর এবার এত বড় মাপের একটা সংখ্যার বাংলাদেশিরা দিনহাটা থেকে গ্রেপ্তার হতেই বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন উঠছে যে, এভাবেই কি অবৈধ বাংলাদেশিদের দিয়ে ২০২৬ এর ভোটের আগে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছে এই রাজ্যের শাসক দল?

বিজেপির দাবি, দিনহাটার বিধায়ক তো রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তার নিজের এলাকায় এত বড় ঘটনা ঘটছে, অথচ তার রাজ্যের পুলিশ কি করছে? তাহলে তো মন্ত্রীর দিকেই প্রশ্ন ওঠে যে, তিনি কি নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন? কথায় কথায় নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে তো তার রুচিতে বাধে না। যা ইচ্ছে তাই বলে আক্রমণ করেন। এমনকি গোটা কোচবিহার জেলা জুড়ে তার গুন্ডাবাহিনী দ্বারা সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অবৈধ বাংলাদেশিরা দিনের পর দিন এই দিনহাটাতে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে, অথচ তা দেখেও কি না দেখার ভান করেছেন রাজ্যের এই মন্ত্রী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল, তাদের বিধায়ক এবং মন্ত্রীকে প্রশ্ন করলেই তারা এখন বলবে যে, সীমান্ত দেখার দায়িত্ব তো বিএসএফের। তাহলে এক্ষেত্রে পুলিশ কি করবে? সীমান্তে গাফিলতি রয়েছে, তাই এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু দেশটা কি শুধুমাত্র বিএসএফের। একজন জনপ্রতিনিধি, রাজ্যের একজন মন্ত্রী, তার এলাকায় এত বড় ঘটনা ঘটছে, তিনি, তার পুলিশ কেন খবর রাখবেন না? যে মন্ত্রী অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে রুচিহীন আক্রমণ করেন, সেই মন্ত্রী কেন নিজের এলাকায় এই সামান্য খবরটুকু রাখতে পারেন না, এই প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই।