প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে যে সুশাসন বলতে কিছু নেই, বিরোধীরা যে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকারটুকু প্রয়োগ করতে পারে না, তা বারবার করে স্পষ্ট হয়েছে‌। আর গতকাল নরেন্দ্র মোদী যখন আলিপুরদুয়ারে সভা করতে গিয়েছিলেন, তখন সেখানে গিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী এবং নেতৃত্বরা। তবে কর্মীদের নিয়ে যখন সেখানে পৌঁছে যান কোচবিহার জেলার বিজেপি নেতা অজয় রায়, ঠিক তখনই তার বাড়িতে শুরু হয়ে গেল দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। শুধু তাই নয় দুষ্কৃতীরা শুধুমাত্র বিজেপির সভায় যাওয়ার কারণে যেভাবে অজয়বাবুর বাড়িতে হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তারপরে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

বলা বাহুল্য, গতকাল উত্তরবঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সভা ছিল। যার ফলে উচ্ছ্বসিত ছিল গোটা বিজেপি পরিবার। এমনকি সাধারণ মানুষও তাকিয়েছিল সেই সভার দিকে। আর সেই সভায় যখন পৌঁছে যান কোচবিহার জেলা বিজেপির অন্যতম নেতা অজয় রায়, ঠিক তখনই তার বাড়ির সামনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। যেখানে তার বাড়ি লক্ষ করে ইট, পাটকেল ছোড়া হয়। যার ফলে তার বাড়িতে থাকা ছোট ছোট সন্তান এবং তার বৃদ্ধা মা পর্যন্ত প্রবল আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অজয় রায়। তার অভিযোগ, প্রশাসনকে জানানোর পরেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাদের ভূমিকা অনেকটা তৃণমূলের দলদাসের মতো। এক্ষেত্রে গোটা বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং তার বাহিনীর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এই বিজেপি নেতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু অজয় বাবুর বাড়িতে নয়, গতকাল উত্তরবঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর এই সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপির একটি বাসেও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে। তারা বুঝতে পারছে যে, নরেন্দ্র মোদীর যে বক্তব্য, দুর্নীতি নিয়ে তিনি যে তথ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফাঁস করে দিয়েছেন, তাতে উত্তরবঙ্গে এমনিতেই তৃণমূল অত্যন্ত করুন অবস্থায় রয়েছে, তার মধ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তারা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে। আর সেই কারণেই এখন বিরোধী শক্তিকে একদম প্রানে মেরে ফেলতেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের এই তান্ডব শুরু হয়ে গেল। তবে প্রশাসন যদি অচিরেই ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার মত বড়সড় পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।