প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এ যেন বুনো ওলকে জব্দ করতে চলে এলো বাঘা তেঁতুল। গতকাল অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে রাজ্যে নরেন্দ্র মোদী এসে বক্তব্য রাখার পরেই তাকে পাল্টা যা ইচ্ছে তাই বলে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা একজন মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে শোভা পায় কি না, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই ধরনের রুচিহীন মন্তব্য সামনে আসার পরেই এমন আক্রমণ হলে দীপক ঘোষের বই গোটা রাজ্যের মানুষকে বিতরন করা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার আর মুখের কথা নয়, একেবারে কাজে সেই বইয়েরই একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচী।

জানা গিয়েছে, এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপক ঘোষের বইয়েরই একটি তথ্য ফাঁস করেন বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচী। যেখানে রয়েছে একের পর এক মারাত্মক তথ্য। বইয়ের সপ্তম অধ্যায় থেকে একটি চিঠি তুলে এই বিজেপি নেতা লেখেন, “প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক স্বর্গীয় দীপক কুমার ঘোষের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লেখা বই “The Goddesses That failed” এর chapter no.7 থেকে তুলে ধরলাম। এর উত্তর একমাত্র উনিই দিতে পারেন।”

বলা বাহুল্য, কৌস্তুভ বাগচী দীপক ঘোষের বইয়ের একটি চিঠির অংশ তুলে ধরে যা পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে রীতিমত হইহই রব পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। মূলত, সেই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন লেখক দীপক ঘোষ। সেক্ষেত্রে রনজিৎ ঘোষ নামক এক ব্যাক্তিকে নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেই চিঠিতে। শুধু তাই নয়, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্তান সম্ভবা কি না, এমন প্রশ্নও জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেই চিঠি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে যাতে নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়, সেই কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপক ঘোষের বইতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি যে সমস্ত প্রশ্ন করা হয়েছে, তা কিন্তু অত্যন্ত ভয়াবহ বিষয়। যদি এর কিছুটা হলেও সত্যতা থাকে, তাহলে বড়সড় ভান্ডা ফোর হয়ে যাবে মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে রুচিহীন আক্রমণ করেছেন, তার পাল্টা যে চরম প্রতিক্রিয়া হবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তারই একটা আভাস দিয়ে দিলেন কৌস্তুভ বাগচী। তাই ভবিষ্যতে নিজেকে শুধরে নিলে ভালো, তা না হলে এরকম রুচিহীন আক্রমণাত্মক শব্দের পাল্টা একের পর এক তথ্যে ঘুম উড়তে বাধ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।