প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার বিরুদ্ধে দীপক ঘোষের বই বিতরণ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একধাপ এগিয়ে বিজেপি নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী আবার দীপক ঘোষের বইয়ের একটি অংশ তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন সেই দীপক ঘোষ। যা তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত অস্বস্তিকর। আর সেই বইয়ের একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই কি জ্বালা শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের?
জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার টালিগঞ্জ থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যেখানে একজন মহিলা সেই এফআইআর করেছেন বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এর ফলেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই মহিলা তৃণমূলের কেউ হবে, খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে, তৃণমূলই এই কাজ করিয়েছে। কারণ, যে বড় তথ্য দীপক ঘোষের বইয়ের ভিত্তিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন কৌস্তুভ বাগচী, তাতে শাসকের আর মুখ দেখানোর মত জায়গা নেই। বইয়ের তথ্য কতটা ঠিক, কতটা ভুল, তা লেখক বলতে পারবেন। যদিও বা তিনি এখন প্রয়াত। তবে সেই তথ্যকে তুলে ধরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে জনসমক্ষে নিয়ে আসার ফলে তৃণমূলের ছটফটানি যে বাড়তে শুরু করেছে, তা এই একটি ঘটনার মধ্যে দিয়েই আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিজেপির দাবি, সবে তো এফআইআর হয়েছে। এরপর হয়ত কৌস্তুভ বাগচীর বিরুদ্ধে কড়া কোনো পদক্ষেপ নেবে পুলিশ। কারণ এই রাজ্যের পুলিশের তো কাজ নেই। তারা তো অনুব্রত মণ্ডলের মত নেতারা যখন পুলিশের মা, বউ তুলে গালিগালাজ করে, তখন তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করার সাহস দেখাতে পারে না। কিন্তু কোনো একটি বইয়ের তথ্য সামনে এনে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার কারণে এখন কৌস্তুভ বাবুর মত প্রতিবাদী নেতাকে হেনস্থা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তবে যতই সমস্ত কাজ করবে এই রাজ্যের প্রশাসন এবং তৃণমূল, ততই আরও বেশি করে রাজ্যের মানুষের সেই দীপক ঘোষের বই সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়বে এবং মমতা ব্যানার্জির আসল মুখোশ খুলে যাবে বলেই দাবি বিরোধীদের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, দীপক ঘোষের বইয়ে যে সমস্ত তথ্য লেখা রয়েছে, সেটাই তো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কৌস্তুভ বাগচী। তিনি তো আর নিজে নিজের মত করে বানিয়ে কোনো কিছু পোস্ট করেননি। ফলে যদি চ্যালেঞ্জ করার হয়, তাহলে দীপক ঘোষের সেই বইকে চ্যালেঞ্জ করা উচিত তৃণমূলের। তারা সেটাকে চ্যালেঞ্জ না করে কেন সেই বই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য কৌস্তভবাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর করছে? যদি তৃণমূলের এসব গুরুত্বই না দিত, তাহলে বোঝা যেত যে, তারা এই সমস্ত কিছুকে পাত্তাই দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়, এতে কৌস্তভবাবুর পোস্টও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেত। কিন্তু কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে এফআইআর করে তৃণমূল নিজেরাও এই পোস্টকে যেমন গুরুত্ব দিয়ে ফেললো, ঠিক তেমনই প্রমাণ হয়ে গেল যে, কৌস্তভ বাগচীর মত নেতা মৌচাকের সঠিক জায়গায় ঢিলটা মেরেছেন। আর সেই কারণেই চিড়বিড় করে জ্বলতে শুরু করেছে তৃণমূল বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।