প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গতকাল থেকেই দিনভর খবরের শিরোনামে থেকেছে বীরভূমের রামপুরহাট। যেখানে প্রথমে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তারপর একটি জঙ্গল থেকে তার টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার হয়। পরবর্তীতে গোটা ঘটনায় শিক্ষক মনোজ পালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এই শিক্ষককে গ্রেফতার করলেও নাবালিকা খুনের ঘটনায় ক্রমাগত মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছিল। অবশেষে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ গতকাল চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। যেখানে জনতা নাবালিকা যে স্কুলের ছাত্র ছিলেন, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে হেনস্থা করতে শুরু করে। এমনকি যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের চরম শাস্তির দাবি তুলে শুরু হয় পথ অবরোধ। বারবার পুলিশের পক্ষ থেকে সেই পথ অবরোধ তুলে নেওয়ার চেষ্টা চললেও শেষ পর্যন্ত তারা ব্যর্থ হয়। অবশেষে প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর সেই অবরোধ তুলে নিলো জনতা। তবে বিচারের দাবিতে এখনও সমানভাবে চলছে প্রতিবাদ।
বলা বাহুল্য, গত বুধবারই খবর আসে যে, রামপুরহাটে যে নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল, তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। যেখানে একটি জঙ্গল থেকে তার টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই নৃশংস ঘটনার খবর সামনে আসার পরেই এলাকাবাসী আর চুপ করে বসে থাকতে পারেননি। ধৈর্যের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন হয় তাদের। শুরু হয় রামপুরহাট দুমকা রোডে প্রতিবাদ জানিয়ে পথ অবরোধ। গতকাল দিনভর এবং রাতজুড়েও চলে অবরোধ। এমনকি আজ সকাল থেকেও সেই অবরোধ চলছিল। তবে প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর অবশেষে সেই অবরোধ উঠে গেল।
এলাকাবাসীর দাবি, পথ অবরোধ উঠলেও বিচারের দাবিতে তাদের আওয়াজ থামবে না। যেভাবে একজন শিক্ষক একজন নাবালিকা খুনে জড়িত এবং যেভাবে তার নাম জড়িয়েছে, তাতে তার কঠোর শাস্তির দাবি করছেন এলাকাবাসী। এমনকি এই ঘটনার পেছনে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই গতকাল থেকে যে ভয়ংকর প্রতিবাদ দেখেছে রামপুরহাট, যেভাবে নাবালিকা খুনে গর্জে উঠেছে গোটা এলাকা, তাতে প্রশাসনও যথেষ্ট চাপে রয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।