প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিনই রাজ্যে মা-বোনেদের সুরক্ষা থাকবে না বলে কসবার গণধর্ষণ কাণ্ডের পর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। তার একটাই দাবি, যতদিন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ার থেকে সরানো যায়, ততদিন কন্যা সুরক্ষা অভিযান চলবে। আর এর মধ্যেই কসবার গণধর্ষণ কান্ড নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য, ঠিক তখনই অশোকনগরে এক ছয় বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং তারপর অভিযুক্তকে বাঁচাতে সেই নাবালিকার পরিবারকে অর্থ দিয়ে মিটিয়ে নিতে বলার অভিযোগ উঠলো এক তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্য জুড়ে এমনিতেই কসবার ঘটনা নিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল, তার মধ্যে এই ঘটনা সামনে আসায় তেড়েফুড়ে শাসকের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছে বিরোধীরা। ঠিক কি ঘটনা ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, গত ২৫ এপ্রিল উত্তর 24 পরগনার অশোকনগরের এক নাবালিকা যার বয়স, ৬ বছর, সে স্কুল থেকে বাড়ির পথে যাচ্ছিল। আর তখনই একটি দোকানে শষসফিক মন্ডল নামে এক ব্যক্তি তাকে চিপস দেওয়ার কথা বলে নিজের কাছে ডেকে আনে এবং তারপর সেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে সেই ছয় বছরের নাবালিকা পরিবারের সদস্যদের সমস্ত বিষয় জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় গিয়ে অভিযোগ করা হয়। প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে না চাইলেও, পরবর্তীতে সেখানে উপস্থিত হন হাবরা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের প্রবীর মজুমদার। আর সেই প্রবীরবাবুর বিরুদ্ধেই উঠেছে মারাত্মক অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা প্রবীর মজুমদার প্রথমে সকলকেই সবটা মিটিয়ে নিতে বলেন। এমনকি নাবালিকার পরিবারকে টাকা দেওয়ার কথা পর্যন্তও তার মুখ থেকে শোনা যায়। কিন্তু নাবালিকার পরিবার তাতে রাজি না হলে তাদেরকে হুমকি পর্যন্ত দেন সেই তৃণমূল নেতা বলেই অভিযোগ। পরবর্তীতে নির্যাতিতার পরিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার জন্য আবেদন করেন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে সেই তৃণমূল নেতা প্রবীর মজুমদারের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচী। যদিও বা যখন ঘটনা ঘটেছে, তখন তিনি কাশ্মীরে ছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ একেবারেই মিথ্যে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা প্রবীর মজুমদার।

বিরোধীরা বলছেন, তৃণমূল মানেই এখন সমাজ বিরোধী। যারা এতদিন তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা চুরি, দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই তৃণমূল এখন ধর্ষকদের পার্টিতে পরিণত হয়েছে। যেখানেই খুন, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটছে, সেখানেই অপরাধীদের বাঁচাতে নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এক্ষেত্রেও যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে অবিলম্বে সেই তৃণমূল নেতাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং গোটা রাজ্য জুড়ে এই ধরনের নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের মত ঘটনা বন্ধ করতে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।