প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্য পুলিশ প্রশাসন চেষ্টা করছে, যাতে নবান্ন অভিমুখে আসার আগেই ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া যায়, অভয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে অভয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে যে মিছিল ডাকা হয়েছে, সেই মিছিল। কিন্তু প্রশাসন যতই চেষ্টা করুক, তাদের শক্তির কাছে যে কেউ মাথা নত করতে রাজি নয়, তা শুধু শহর কলকাতা নয়, জেলা থেকে আসা এই নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে প্রচুর মানুষের সমাগমই স্পষ্ট করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলাগুলি থেকে বিভিন্ন ট্রেন ধরে নবান্ন অভিযান উপলক্ষে শহর কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন প্রচুর মানুষ। বিজেপির পক্ষ থেকে আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, তাদের কর্মীরা পতাকা ছাড়া অরাজনৈতিকভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে। আর সেই মতই এবার দুর্গাপুর থেকে প্রচুর বিজেপি কর্ম সমর্থক রওনা দিলেন নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে।

বলা বাহুল্য, নবান্ন অভিযানে যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকলে অংশগ্রহণ করে, তার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিজে জানিয়েছেন যে, পতাকা ছাড়া, কোনো রকম রাজনৈতিক স্লোগান ছাড়াই তাদের কর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। অভয়ার মৃত্যুর বিচার দাবিতে এক বছর পর তারা এই নবান্ন অভিযানে থাকবেন। আর সেই মতই এদিন সকালেই দুর্গাপুর স্টেশনে জমায়েত করেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির প্রচুর কর্মী সমর্থকরা কোল্ডফিল্ড এক্সপ্রেস করে রওনা দেন নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে।

জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভয়ার মৃত্যুর এক বছর পূরণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিচার হয়নি। তাই অভয়ার পরিবারের ডাকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই নবান্ন অভিযানে সামিল হবেন।” অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, সবাই সবার রাজনৈতিক আদর্শ হয়ত মনে রেখেছেন‌। কিন্তু আজকের এই কর্মসূচি একেবারেই অরাজনৈতিক অভয়ার পরিবার যেভাবে নিজেদের মেয়ের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে গর্জে উঠেছেন, তাতে তাদের সঙ্গে থেকে মানসিকভাবে এই নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে থাকতে চাইছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। আর সেই কারণেই সুদূর দুর্গাপুর থেকে প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থক রওনা দিলেন নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে।