প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল মানেই অন্যায় এবং অপরাধ‌। গোটা রাজ্য জুড়ে যেখানেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রয়েছে, সেখানেই তারা অন্যায় করেও বহাল তবিয়তে দিন কাটাচ্ছেন। তবে আদালত আছে বলেই সুবিচার পাওয়া যায়। অন্তত তেমনটাই বলেন বিরোধীরা। আরড়িয়াদহের ত্রাস বলে পরিচিত জয়ন্ত সিংকে তৃণমূলের গুন্ডা বলেই কটাক্ষ করেন তারা। এমনকি এই জয়ন্ত সিংহ তৃণমূলের সম্পদ, আর সেই কারণেই হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরেও তার বাড়ি ভাঙার কাজ হচ্ছে না বলে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এবার অবশেষে সেই জয়ন্ত সিংহের বাড়ি ভাঙ্গার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলো কামারহাটি পৌরসভা।

বলা বাহুল্য, আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিংহের বাড়ি ভাঙ্গা নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কামারহাটি পৌরসভা। কিন্তু তারপরেও পৌরসভার পক্ষ থেকে নানা কথা শোনা যায়। বিরোধীরা বলতে শুরু করে, এটা শুধুই অজুহাত, আর কিছু নয়। জয়ন্ত সিংহ তৃণমূলের সম্পদ। তাই তাকে বাঁচানোর জন্য সেখানে বাড়ি ভাঙার সরঞ্জাম ঢুকতে পারবে না, সরু গলি এই সমস্ত অজুহাত দিতে শুরু করেছে পৌরসভা। কিন্তু এবার মনে যতই দুঃখ, কষ্ট চাপা থাক না কেন, পৌরসভাকে নিতেই হলো কড়া পদক্ষেপ বলে খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা।

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কামারহাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে জয়ন্ত সিংহের বাড়ির বাইরে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ১৩ জুন থেকে এই বাড়ির ভাঙ্গার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর তার আগে ই-টেন্ডার ডাকা হয়েছে। শুধু তাই নয় ১৩ জুনের আগে বাড়ির ভেতরে থাকা যে সমস্ত সরঞ্জাম রয়েছে, তা যাতে বাইরে বের করে নেওয়া হয়, তার জন্যও বলা হয়েছে সেই নোটিশে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাজ্যে হাইকোর্ট আছে বলেই সুবিচার পাওয়া যায়। আর তার আরও একটা নজির এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল। কামারহাটি পৌরসভা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেছিল, যাতে এই বাড়ি ভাঙার কাজ করতে না হয়। কিন্তু আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, তা তাদের পালন করতেই হবে। তাই এবার শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা যাকে তৃণমূলের রত্ন বলে কটাক্ষ করেন, সেই জয়ন্ত সিংহের বাড়ি ভাঙ্গার প্রক্রিয়া শুরু করতে বাধ্য হলো কামারহাটি পৌরসভা।