প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলা রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে গিয়েছে সেই ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। এমনকি তাদের সেই অভিযোগ সত্যি করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পর্যন্ত সামনে এসেছে। আর এবার হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে সামনে এলো মারাত্মক তথ্য। যেখানে বর্ধমানের মেমারিতে বাবা-মার গলা কেটে খুন করা হুমায়ুন কবীর ওরফে আসিফকে নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যেখানে তার সঙ্গেও রোহিঙ্গাদের ব্যাপক ঘনিষ্ঠতার খবর সামনে আসছে। আর তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, এ কোন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে বাংলা? কোথায় বাংলার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা?
জানা গিয়েছে, একসময় এই হুমায়ুন কবীর ওরফে আসিফ মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে চরম গন্ডগোল বাধে এবং সে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে নিজের সঙ্গে যে ছুরি ছিল, তা নিয়ে সে হামলা চালাতেই তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। আর এরপরেই বনগাঁ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার সাথে সাথেই আরও ভয়ংকর তথ্য সামনে আসে। যেখানে জানা যায়, গরিব মুসলিমদের প্রতি একটু দুর্বল ছিলেন এই হুমায়ুন কবীর। শুধু তাই নয়, মায়ানমারে যে সমস্ত গরীব রোহিঙ্গা রয়েছে, তাদের মাথা হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন তিনি। তাদেরকে সব রকম ভাবেই সাহায্য করার চেষ্টা করার ইচ্ছে ছিল তার। এমনটাই তথ্য সামনে এসেছে তদন্তকারীদের কাছে।
এক্ষেত্রে মেমারিতে নিজের বাবা এবং মাকে গলা কেটে খুন করার পর এই হুমায়ুন কবীর প্রথমে কালনা পৌঁছে যায়। তারপর নৌকা করে ফেরিঘাট থেকে নদীয়ার শান্তিপুরে যান তিনি পরবর্তীতে গাড়ি করে বনগায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই ধর্ম নিয়ে কিছু কথা বলার কারণে তিনি যেভাবে হামলা চালাতে উদ্যত হন, তারপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার সম্পর্কে বাংলাদেশের কুমিল্লার এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের কাছে যেতে চেয়েছিলেন বলে যে খবর সামনে আসছে, তাতে আতঙ্ক বাড়ছে গোটা রাজ্য জুড়ে।