প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের চাকরি চুরির জন্যই যে প্রচুর যোগ্য ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গিয়েছে, তা আজকে দিনের আলোর মত পরিষ্কার। প্রায় 26 হাজার চাকরি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চলে যাওয়ার পরেও কি তৃণমূল্যের বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই? এবার এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার মেয়ের চাকরির বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমত গাড্ডায় পড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চরম বেকায়দায় ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
কি ঘটনা ঘটেছে? ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যেখানে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির মেয়েকে রাজ্যের সেচ দপ্তরের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদার লেখেন, “লক্ষ লক্ষ মেধাযুক্ত যোগ্য বেকার যুবক, যুবতী যখন চাকরির দাবি নিয়ে ফুটপাতে রাত কাটাচ্ছে, তখন নিঃশব্দে বিশেষ প্রভাব খাটিয়ে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির কন্যাকে চাকরি পাইয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ এবং জলপথ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। রাজ্যের অসহায় যুবসমাজকে অন্ধকারে রেখে আর কতদিন এমন ধারাবাহিক কীর্তিকলাপ চালিয়ে যাবে মাননীয়ার সরকার?”
এদিকে বেআইনিভাবে তৃণমূলের চাকরি দেওয়ার এই কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামনে আসার পরেও নেতাদের গলার জোর কিন্তু কমছে না। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন আবার বড় বড় গলায় বলেছেন, “সুকান্ত মজুমদারের যদি এত খারাপ লাগে, তাহলে ওনার ছেলের নামটাও পাঠান, সেটাও দেখব।” অন্যদিকে কিভাবে নিজের মেয়ের চাকরি হয়েছে, সেটা নাকি জানেনই না মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। তবে বিরোধীদের প্রশ্ন, এতকিছুর পরেও তৃণমূল এই সমস্ত কাজ করে কি করে? তাদের জন্যই তো এত বেকার আজকে রাজ্যে। তাদের অপদার্থতার কারণেই, তাদের দুর্নীতির কারণেই এতগুলো চাকরি চলে গেল। যার ফলে যোগ্যরা আজকে রাস্তায় বসে রয়েছেন। কিন্তু সেই সময় যোগ্যদের দিকে না তাকিয়ে নিজের দলের নেতার মেয়েকে কি করে ঘুরপথে চাকরি দিয়ে আবার এত বড় বড় কথা বলছেন মাননীয়া মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?
পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের নেতারা রাজ্যে যে চাকরি চুরি শুরু করেছেন, তা কোনোদিন বন্ধ হবে না। সুকান্ত মজুমদার যে তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, তৃণমূল ভেবে নিয়েছে, তারা রাজ্যের বেকার যুবকদের সঙ্গে বঞ্চনা করবে। কারণ ২৬ হাজার চাকরি চলে যাওয়ার পর একটাও এই ঘুর পথে চাকরি দেওয়ার মত সাহস যদি বিন্দুমাত্র তাদের লজ্জা এবং মেরুদন্ড থাকত, তাহলে তারা এইরকম কাজ করতে পারত না। এতগুলো শিক্ষিত বেকার রাস্তায় বসে রয়েছে, সেখানে তৃণমূল নেতার মেয়ে চাকরি পাচ্ছে কি করে? তারপরেও আবার মাননীয়া মন্ত্রী বলছেন, তিনি কাকে চাকরি দেবেন, সেটা তার ব্যাপার। সত্যিই এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা? রাজ্যের মানুষ সময় থাকতে থাকতে তৃণমূলকে না চিনলে আগামী ২৬ এও যদি এরা ক্ষমতায় আসে, তাহলে চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, শিক্ষা ব্যবস্থাটাই লাটে উঠে যাবে এবং তৃণমূল নেতাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে চাকরি। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।