প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারত-পাক যুদ্ধের আবহের মধ্যেই হঠাৎ করেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার ফলে দুই দেশের কেউ তেমন কিছু ঘোষণা না করলেও, কি করে ট্রাম্প একা ক্রেডিট নিয়ে এই কথা বললেন, তা নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকেই অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। পরবর্তীতে বারবার তিনি এটা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, তার জন্যই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার সমাধান হয়েছে। আর এবার সেই ট্রাম্প পাকিস্তান সম্পর্কে যে কথা বললেন, তাতে চমকে উঠছে গোটা বিশ্ব।

প্রসঙ্গত, এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত এবং পাকিস্তানের ব্যাপারে আমাদের ভূমিকা যদি দেখেন, আমরা গোটা বিষয়টির সমাধান বের করেছি। আমার বিশ্বাস, ব্যবসার মাধ্যমেই সমাধান বের করা গিয়েছে। আমরা ভারতের সঙ্গে বড় চুক্তি করতে চলেছি। বড় চুক্তি করতে চলেছি পাকিস্তানের সঙ্গেও। কি যে হচ্ছিল! শেষ কথা কাউকে না কাউকে বলতেই হতো‌। পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। সংকট গভীর হচ্ছিল।”

শুধু এখানেই শেষ নয়, এরপরেই পাকিস্তান সম্পর্কে বড় মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “পাকিস্তানে কিছু চমৎকার মানুষ আছেন। কিছু ভালো নেতা আছেন।” তবে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতকেও “বন্ধু” বলে সম্বোধন করে “নরেন্দ্র মোদী আমার বন্ধু এবং দুই পক্ষের সঙ্গেই আমি কথা বলি” বলে জানিয়ে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের পরিস্থিতির সময় থেকেই এমন একটা ভাব দেখাচ্ছিলেন, যেন নিজেই তিনি সব সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবটা মোটেই তেমন নয়। আর সেই সময় থেকেই ভারতের সাধারণ জনতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেন। আর এবার সেই ট্রাম্প পাকিস্থানের নেতাদের “ভালো” সম্বোধন করে ভারতের মানুষের ক্ষোভ কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিলেন।

তবে এক ঢিলে দুই পাখি মারার জন্য এবং ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক যাতে ঠিক থাকে, তার জন্য নরেন্দ্র মোদীকেও বন্ধু বলে সম্বোধন করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু পাকিস্তানের মত শত্রু দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভারতের মানুষ কতটা গ্রহণ করবেন, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের কাছে।