প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাকিস্তানের মত সন্ত্রাসবাদী দেশের জঙ্গি শক্তিকে টাইট দিতে ভারতের পক্ষ থেকে অপারেশন সিঁদুর চালানো হয়েছিল। যাতে কাবু হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে বাংলায় যে অরাজকতা চলছে, তাতে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসে বিজেপিকে কিভাবে পথ চলতে হবে এবং কিভাবে পরিবর্তন আনতে হবে, তার গাইডলাইন ঠিক করে দিয়েছেন। আজ আবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যার ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, বিজেপি বাংলা নিয়ে কতটা সিরিয়াস। তাই অপারেশন সিঁদুরের মধ্যে দিয়ে যেমন পাকিস্তানকে দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত, ঠিক তেমনই এই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারকে বিদায় জানাতে হলে এবং রাজ্যকে ঠিকমত চালাতে গেলে এবার নয়া অপারেশন প্রজেক্টের কথা শোনা গেল সুকান্ত মজুমদারের গলায়।
বলা বাহুল্য, প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসে তৃণমূল সরকারকে যেভাবে আক্রমণ করেছেন, তাতে উজ্জীবিত গোটা গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে আজ রাজ্যে অমিত শাহ আসছেন। ফলে বিজেপি যে এবার দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে বাংলায় পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে, তা বলাই যায়। আর এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে যেভাবে জব্দ করা হয়েছে অপারেশন সিঁদুরের মধ্যে দিয়ে, ঠিক তেমনই বাংলার তৃণমূল সরকারকেও জব্দ করতে হবে। আর তার জন্য চালু করা হবে অপারেশন বাংলা। যার মধ্যে দিয়ে এই রাজ্যে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী বলেই জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এদিন এই বিষয়ে তৃণমূল সরকারের ঘুম উড়িয়ে দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “এই দেশকে বাঁচাতে হলে বাংলায় অপারেশন বাংলা করা দরকার। মুখ্যমন্ত্রীর গোঁসা হয়েছে, আমি অপারেশন বাংলা বলেছি বলে। অপারেশন সিঁদুর যেমন পাকিস্তানের জন্য হয়েছে, আপনাদের জন্য অপারেশন বাংলা হবে। কারণ আপনাদের জন্য অপারেশন সিঁদুর করার দরকার নেই। আপনারা তো সিঁদুরকে সম্মান দেন না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সিঁদুরকে অপমান করলেন এবং তার দলের অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে মহিলাদের কটুক্তি করলেন, আমাদের বোঝা হয়ে গেছে, আপনারা সিঁদুর এবং মহিলাদের কি সম্মান করেন! যদিও বা নিজে মুখে মহিলা, কিন্তু এই ধরনের ঘটনায় আমরা বুঝতে পেরে গিয়েছি, আপনারা কি ধরনের সম্মান করেন। তার বিরুদ্ধে বাংলার লড়াই, বাংলার মহিলাদের বাঁচানোর লড়াই।”
পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারই বিজেপির কাছে শেষ সুযোগ বাংলায় পরিবর্তনের। তাই বিজেপি যদি সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে না পারে, তাহলে আগামী দিনে তারা শুন্যর থেকেও নিচে চলে যাবে। ফলে এখন থেকেই মোদী এবং অমিত শাহ বাংলায় যে পরিবর্তন আনতে হবে কর্মীদের জন্য এবং বাংলায় সুশাসনের জন্য, তা হয়ত উপলব্ধি করতে পারছেন। কারণ এবার বাংলায় পরিবর্তন না হলে হিন্দু বাঙালিরা কোথায় যাবেন, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। তাই অপারেশন সিঁদুরের মধ্যে দিয়ে যেমন পাকিস্তানকে কাবু করা হয়েছে, ঠিক তেমনই অপারেশন বাংলার মধ্যে দিয়ে কিভাবে তৃণমূলের সরকারকে বিসর্জন দেওয়ার স্ট্র্যাটেজি ঠিক হয়, কতটা এই অপারেশন বাংলাকে কাজে লাগাতে পারে বিজেপি, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।