প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভুয়ো ভোটার নিয়ে সরগরম গোটা বাংলা। আর তার মধ্যেই এবার এমন এক তথ্য উঠে এলো, যা রীতিমত চমকে দেওয়ার মত। এতদিন অবৈধ বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশ এই রাজ্যে বাস করছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার বাংলাদেশের এক বাসিন্দা সরকারি পোস্ট অফিসে কর্মচারী বলে সামনে চলে এলো ভয়ংকর তথ্য। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, বাংলাদেশের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও তিনি কি করে সরকারি পোস্ট অফিসে ভারতে চাকরি পেলেন?

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ভুয়ো ভোটার নিয়ে কাকদ্বীপের মূলত তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হয়েছে নজরদারি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর সেখানেই নামখানা পোস্ট অফিসের সরকারি কর্মচারী সৈকত দাসকে নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, এই সৈকতবাবুর বাবা বাংলাদেশের ভোটার। সেখান থেকেই তিনি পেনশন পান। ভোটার লিস্টে এখনও তার বাবার নাম না উঠলেও, তার নাম উঠে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তার নাম কে বা কারা ওঠালো বাংলার ভোটার লিস্টে?

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই সৈকত দাস বলেন, “আমি তো আত্মীয়দের মারফত ভারতের ভোটার হয়েছি।” কিন্তু তার বাবা তো এই এলাকার ভোটার নন, তার নিজেরও জন্মের সার্টিফিকেট নেই। তাহলে তিনি ভারতের ভোটার হলেন কি করে? এই ব্যাপারে সৈকতবাবুর বক্তব্য, “আসলে তখন অত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টা দেখা হয়নি।” অন্যদিকে সৈকত দাসের মা আবার বলেন, “এরকম তো অনেকেই রয়েছেন। তাহলে এখন কেন এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? আমরা তো আর আজ আসিনি। অনেকদিন ধরেই রয়েছি।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা তো অত্যন্ত চমকে যাওয়ার মত বিষয়। বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার পরেও তিনি ভারতে এসে সরকারি অফিসে চাকরি করছেন! তবে এতে সৈকতবাবু বা তার পরিবারের কোনো দোষ নেই। দোষ তো তাদের, যারা বাংলায় থেকে বাংলাদেশী নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও অন্য কারও নাম ভোটার লিস্টে তুলে দিয়েছেন। তাহলে কারা তারা? তাদের খোঁজার কাজ কবে করবে প্রশাসন? যে সমস্ত ব্যক্তিরা এইভাবে বাংলাদেশীদের ঘুরিয়ে বাংলার ভোটার লিস্টে জায়গা করে দিয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আগে কড়া শাস্তি দেওয়া উচিত প্রশাসনের। আর যেভাবে বাংলাদেশীদের রমরমা বাংলার ভোটার লিস্টে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে আগামী দিন আরও যে একাধিক এইরকম বড় বড় তথ্য সামনে আসবে, সেই সম্পর্কে কোনো দ্বিমত নেই পর্যবেক্ষকদের মধ্যে।