প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আস্থা নিয়ে অতীতে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কিন্তু কোনো কথাই যে রাজ্যের সর্বেসর্বাকে কোনোভাবেই বিচলিত করে না, তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি বিরোধীদের। মুখ্যমন্ত্রীর বহু চর্চিত দীঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরি হওয়ার পরে এই প্রথমবার রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছিল সৈকতে। সেই রথযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য এবং তার পুলিশ বাহিনীর কৃতকর্ম সরাসরি ভাবে মাননীয়ার হিন্দু ধর্মের প্রতি মেকি প্রীতি এবং ম্যানেজ দেওয়ার রাজনীতি বলেই মনে করছেন সমালোচকদের একাংশ।
এদিন দীঘায় রথযাত্রা চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে সামনের দিকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য রথের রশিতে বুট চাপা দিতে দেখা যায় একজন পুলিশ কর্মীকে। ঘটনাচক্রে, এদিন রথযাত্রা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রথের দড়ির যে কোনো প্রান্তকেই স্পর্শ করা মানে বলরাম, সুভদ্রা এবং জগন্নাথ দেবের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা।” বিরোধীরা বলছে, এই কথা যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে সেই রথের রশিতে বুট চাপা দেওয়া কি জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাকে সরাসরি অপমান নয়?যেখানে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে সামনের দিকে আনার জন্যই এই বুট কান্ড বলেই মত বিরোধীদের একাংশের।
তবে ঘটনার সময় কাল, প্রেক্ষাপট এবং মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। মূল ঘটনাটি প্রকাশ পায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। যদিও বা তার সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু মিডিয়া। তবে যেহেতু অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহু কথা এবং আচরন, এমনকি এইরকম এক রথযাত্রার দিকে চটি পড়ে রথ টানার অভিযোগ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ওপরে রয়েছে, সেই ঘটনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধাশীলতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে বৈকি! বলছেন বিরোধীরা। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া এই ভিডিও মুখ্যমন্ত্রীর জগন্নাথ দেবের “পোস্টার গার্ল” হওয়াকে কতটা প্রশ্নের মুখে ফেলবে, সেদিকেই তাকিয়ে হিন্দু সনাতনীরা। অন্তত তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।