প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেশের খেয়ে, দেশের পড়ে দেশের যারা সর্বনাশ করে, তাদের সঙ্গে যে আর বিন্দুমাত্র রেয়াত করা হবে না, তা অপারেশন সিঁদুরের পরে একের পর এক ঘটনার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট করে দিচ্ছে ভারত। ইতিমধ্যেই জ্যোতি মালহোত্রা, যিনি বিশিষ্ট ইউটিউবার, যার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃদ্ধি করার অভিযোগ রয়েছে, তাকে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তাকে জেরা করে একের পর এক যে সমস্ত তথ্য সামনে আসছে, তা রীতিমত চমকে দেওয়ার মত। শুধু এই জ্যোতি মালহোত্রা নয়, আরও অনেকেই এই দেশের ভেতরে থেকে প্রশাসনের ভেতরে থেকে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বোনার কাজ শুরু করেছিলেন। আর সেই খবর এবার সামনে আসতেই এক বড় মাথাকে ধরে ফেললো পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এবার রাজস্থানের এক সরকারি আধিকারিককে পাকিস্তানের গুপ্তচর হয়ে কাজ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।। বেশ কিছুদিন ধরেই তার ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছিল। অবশেষে এবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম, শাকুর খান। আর এই তথ্য সামনে আসতেই চাপ বাড়ছে বিভিন্ন মহলে। প্রত্যেকের মধ্যেই প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে, দেশের মাটিতে আর কত গদ্দার রয়েছে, যারা পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছেন? বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই একজন সিআরপিএফ জওয়ানকে এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে গুজরাট থেকে সহদেব সিংহ গহিল, যিনি স্বাস্থ্যকর্মী, তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর এবার রাজস্থানের এক সরকারি আধিকারিককে সেই পাকিস্তানের গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা দেশে থেকে দেশের সঙ্গে গদ্দারি করেছে, এখন তাদের চিহ্নিত করার পালা। যে কাজ পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে এনআইএ শুরু করেছে, এখন সেদিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ ভবিষ্যতে এই সমস্ত ব্যক্তিরা দেশের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনবে। এরাই শত্রু দেশের কাছে ভারতের গোপন খবর পাচার করে। আর তারপরে ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে সাহস পায় পাকিস্তানের মত দেশগুলো। তাই ভারতে থেকে যারা ভারতের সঙ্গে বেইমানি করছে, সেই সমস্ত ঘর শত্রু বিভীষণদের ঘাড় ধরে ভেতরে ঢোকানো উচিত বলেই দাবি আমজনতার।
তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যে ট্রেন্ড চলছে, তা কিন্তু ভারতের পক্ষে অত্যন্ত বিপদজনক। কারণ প্রশাসনের ভেতরে থেকে সরকারের ভেতরে থেকে যদি কোনো সরকারি আধিকারিক পাকিস্থানের গুপ্তচর বৃত্তির মত ভয়ংকর কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তো সত্যিই কিছু বলার নেই। এদের কি দেশের প্রতি বিন্দুমাত্র দায়বদ্ধতা নেই? প্রথমে সিআরপিএফ জওয়ানের কুকীর্তি সামনে এলো, আর এবার একজন রাজস্থানের সরকারি আধিকারিক, তিনি যেভাবে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন বলে গ্রেপ্তার করা হলো, তাতে তো দেশের আনাচে-কানাচে প্রচুর এরকম দেশবিরোধী মানুষ ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন এবং অবিলম্বে সেই সমস্ত মানুষজনকে চিহ্নিত করা উচিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।