প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঘটা করে তৈরি করা হয়েছিল ইন্ডি জোট। যেখানে বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি ছিল। কিন্তু এখন সেই ইন্ডি জোটে কারা রয়েছেন, তা কেউ বলতে পারবেন না। সবাই নিজেদের মত করে আলাদা আলাদা করে লড়াই করছেন। আর এবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে চাপের রাখতে গিয়ে ভেঙে কি খান খান হয়ে গেল ইন্ডি জোট? যে পরিকল্পনা তারা করলেন যে, ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবেন, সেটা করতে গিয়ে কি বড়সড় ধাক্কা চলে এলো? কিন্তু কি হয়েছে! ইন্ডি জোটের সোনার সংসারে হঠাৎ থাবা বসালো কারা?
বলা বাহুল্য, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি করেছে বিরোধীরা। আর সেই বিষয় নিয়েই ইন্ডি জোটে অংশগ্রহণকারী ১৬ টি রাজনৈতিক দল একটি চিঠি তৈরি করেছেন। যে চিঠিতে কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা থেকে শুরু করে আরজেডির মত দলের সাংসদরা স্বাক্ষর করেছেন বলে খবর। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে প্রত্যেকটি দল বৈঠক করে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেও, সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল আম আদমি পার্টিকে। তবে অনুপস্থিত থাকলেও তারা আলাদাভাবে এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু যখন প্রত্যেকটি বিজেপি বিরোধী দল একত্রিত হয়ে বৈঠক করছে, তখন কেন তার থেকে বাইরে বেরিয়ে গেল আম আদমি পার্টি?
ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিরোধীদের কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, ইন্ডি জোটের ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই। তাদের পিন্ডি ইতিমধ্যেই চটকে গিয়েছে। দেশের মানুষকে বোকা বানানোর জন্য এরা সব ক্ষমতালোভী হিসেবে জোট তৈরি করেছিল। তবে সেই জোট এখন ভেঙে গিয়েছে। আর যে দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে, তা অবশ্যই দেশের সরকার গোটা দেশবাসীকে জানিয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এই ব্যাপারে যথাযোগ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তবে দেশ একমাত্র নরেন্দ্র মোদীর হাতেই সুরক্ষিত। এটা আজকে গোটা ভারতবাসী জানে। তাই বিরোধীদের এই সমস্ত নাটক এবং দেশ প্রেমিক সাজার প্রচেষ্টা না করলেও চলবে বলেই কটাক্ষ পদ্ম শিবিরের।
তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দর সিং হুডা বলেন, “পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের সময় আমরা সকলেই সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু এখন যখন সরকার বিশ্ব মঞ্চে ভারতের অবস্থান তুলে ধরছে, তখন সংসদকেও কনফিডেন্সে নেওয়া উচিত। আলোচনা করা উচিত। আমাদের সেনাদের ধন্যবাদ জানানোর এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করার এটাই সঠিক সময়। অন্যদিকে সংসদ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। তাই এই ব্যাপারে বিশেষ অধিবেশন ডাকা প্রয়োজন বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, নরেন্দ্র মোদী এবং তার নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার দেখিয়ে দিয়েছে কি করে পাকিস্তানকে জবাব দিতে হয়। শুধু তাই নয়, আজকে পাকিস্তানের মুখোশ খোলার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদদের নিয়ে টিম গঠন করে আন্তর্জাতিক স্তরে তা পাঠিয়ে সত্য তুলে ধরা হচ্ছে। অপারেশন সিঁদুর যে সাফল্য এনে দিয়েছে ভারতকে, তা অবশ্যই প্রত্যেকের কাছে গর্বের বিষয়। তবে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের এই বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবিতে যে চিঠি দেওয়া হচ্ছে, তাতে কেন্দ্র কতটা সম্মতি প্রকাশ করে এবং শেষ পর্যন্ত এই নিয়ে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।