প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যারা অপরাধী, যারা সন্ত্রাসবাদী, তারা যেন বাংলাকেই নিজেদের স্বর্গরাজ্য ভাবতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারীদের যন্ত্রণায় বিতশ্রদ্ধ বাংলা। আর তার মধ্যেই এবার বিহারের ভয়ংকর গ্যাং বাংলায় আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর এসেছে। যেখানে একটা বড় চক্রের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু কি করছে এই বিহারের গ্যাং? তাদের কাজ একটাই, মানুষকে সর্বস্বান্ত করা।
জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পৌরসভার এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নিজের স্কুটারের সিটের নিচে দুই লক্ষ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে তা রেখে দিয়েছিলেন। আর মুহূর্তের মধ্যেই সেই টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে বিহার থেকে আসা এই গ্যাং। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজে সেই তথ্য দেখে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কিভাবে এরা বাংলায় আশ্রয় নিলো? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের রেলের ধারে যে সমস্ত বস্তি রয়েছে, সেখানেই এরা বিভিন্ন দলের বিভক্ত হয়ে আস্তানা নিয়েছিল। এদের কৌশল এতটাই পরিপক্ক যে, কেউ টাকা নিয়ে নিজের গাড়িতে রেখে যদি অন্য কোথাও যায়, তাহলে সাথে সাথেই গাড়ির দিকে খুলে তারা সেই টাকা সরিয়ে নিজেদের মত করে পালিয়ে যায় এলাকা থেকে।
পুলিশের তরফ থেকে যতটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে, কিছুদিন আগেই নদীয়ার শান্তিপুরে একটি ভয়ংকর চুরির ঘটনা ঘটেছিল। আর সেখান থেকেও এই গ্যাং সেই চুরির ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে বিহারের এই গ্যাংয়ের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে রীতিমত চিন্তিত প্রশাসন। এদিন এক পুলিশকর্তা বলেন, “এরা এতটাই পেশাদার যে, কোনো রকম শব্দ না করেই যে কোনো গাড়ির ডিকি খুলতে পারে। জেলার ছোট শহরগুলোই তাদের নিরাপদ টার্গেট। এর কারণ বড় শহরের তুলনায় সেখানে সিসিটিভি বা পুলিশের টহলদারি কম। গত বছর নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদে ১২ টি চুরির ঘটনায় এই গ্যাংয়ের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবেই যদি পশ্চিমবঙ্গে অন্য রাজ্য থেকে আসা দুষ্কৃতীরা রাজত্ব করতে শুরু করে, তাহলে বাংলার প্রশাসন কি করছে? সবদিক থেকেই বাংলা যেন এখন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে গিয়েছে। যেভাবে বিহারের গ্যাং এসে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের টাকা লুট করে তাদের সর্বস্বান্ত করছে, তাতে এখনই যদি এই প্রবণতা বন্ধ না হয়, তাহলে আগামী দিন আরও ভয়ংকর কিছু অপেক্ষা করছে বাংলার মানুষের জন্য। তাই সময় থাকতেই প্রশাসন কি করবে, তা তাদের ব্যাপার, তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।