প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
কথায় আছে, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। মাঝেমধ্যেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত সীমাকে অতিক্রম করে, সমস্ত শিষ্টাচারকে ভেঙে শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করতে গিয়ে এই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে রুচিহীন ভাষায় আক্রমণ করেন। এই ঘটনা বহুবার পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখেছে। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কি রুচিহীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তা সকলেই জানেন। তবে বিপদে পড়লে যে সেই মোদী ছাড়া আর কোনো গতি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, তা এবার স্পষ্ট হয়ে গেল। রাজস্থানে বাংলা থেকে যাওয়া ৩০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক যেভাবে আটক হয়ে রয়েছেন, তাতে প্রবল ক্ষিপ্ত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাংলার প্রতি বিজেপির এলার্জি রয়েছে, সেই কারণেই দিকে দিকে এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে বলে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। এমনকি এই ব্যাপারে তিনি আগামী দিনে রাস্তায় নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নজরে গোটা বিষয়টি আনার কথাও জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্য বিধানসভায় ইটাহারের ৩০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক রাজস্থানে কাজ করতে যাওয়ার পর শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য তাদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে রাখা হয়েছে বলে সোচ্চার হন সেখানকার বিধায়ক মোশারফ হোসেন। আর তারপরেই গোটা ঘটনায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বলাই কি অপরাধ?” পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কেন এইভাবে বাঙ্গালী দেখেই হেনস্থা করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাঙ্গালীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কি মনোভাব, তা জানি না। কিন্তু এটা স্পষ্ট, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বাঙ্গালীদের নিয়ে সমস্যা রয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী বলেও জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
আর এখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের বক্তব্য, এই মুখ্যমন্ত্রী তো প্রধানমন্ত্রীকে তোয়াক্কা করেন না। যা ইচ্ছে তাই বলে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। তাহলে সেই প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন এখন তিনি হচ্ছেন কেন? বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি দেখলেই হেনস্থা করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ করছেন, তা একেবারেই সর্বৈব মিথ্যা। আসলে পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো বাংলাদেশি এবং অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গিয়েছে। আর তারা যদি অন্য রাজ্যে গিয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই সেখানকার প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। যদি তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র থাকে, তাহলে তারা তা দেখালেই সেখানকার প্রশাসন তাদের ছেড়ে দেবে। কিন্তু সেই ব্যাপারে কোনো কিছু না বলে শুধুমাত্র বিজেপি সরকারকে দোষারোপ করে মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। তাই এসব বলে কোনো লাভ হবে না। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। অন্তত তার মত দেশের প্রধানমন্ত্রী নন যে, বিরোধীদের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন না। তিনি তার সমস্যা নিয়ে কথা বলতেই পারেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ যে অনুপ্রবেশ কারীদের আঁতুড়ঘর হয়ে গিয়েছে, এটা গোটা দেশের কাছে দিনের আলোর মত পরিষ্কার। তাই বিজেপি শাসিত রাজ্যের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের নাকে কান্না কুম্ভীরাশ্রু ছাড়া আর কিছু নয় বলেই কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।