প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মাঝেমধ্যেই বলেন যে, এই রাজ্যে সরকার বলতে কিছু নেই। প্রশাসন বলতে কিছু নেই। সবটাই ভগবানের ভরসায় চলছে। আর সেই কারণেই খুন, ধর্ষণ, চাকরি চলে যাওয়া, আবার বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা এসে ভোটে নাম তুলে নেওয়ার মত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে এই বাংলায়। আর এবার সেই বাংলাতেই শুভেন্দু অধিকারীর কথাই কি সত্যি হতে শুরু করলো? কেননা মমতা পুলিশের হাতেই যে ব্যক্তি ধরা পড়লেন এবং যে পরিস্থিতিতে ধরা পড়লেন, তাতে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে, প্রশ্ন উঠছে সরকারি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে কি করে নীলবাতি লাগানো গাড়ি কেউ ব্যবহার করতে পারেন? কি ঘটনা ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেহালা থানার সামনে হঠাৎ করেই একটি নীল বাতির গাড়ি দেখতে পান এক পুলিশ আধিকারিক। গাড়িটির সন্দেহজনক গতিবিধি থেকে তিনি তা আটকে দেন। তারপরে গাড়ির ভেতরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যে, এক ব্যক্তি নিজেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একজন আধিকারিক বলে পরিচয় দিচ্ছেন। পরবর্তীতে তাকে কাগজপত্র দেখানোর কথা বলা হলেও তারা কিছুই দেখাতে পারেননি।। যার ফলে সেই গাড়ির চালক সহ গাড়ির ভেতরে যারা যারা ছিলেন, তাদের প্রত্যেককে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বেহালা থানার পুলিশ। আর এখানেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
একাংশ বলছেন, নীল বাতির গাড়ি সবাই ব্যবহার করতে পারে না। যদিও বা পশ্চিমবঙ্গে আইন-কানুন বলে কিছু নেই। এখানে সবাই সবকিছুই করতে পারে তৃণমূল সরকারের আমলে। তেমনটাই দাবি বিরোধীদের। তবে সেই বাংলাকে বেছে নিয়ে রোহিঙ্গা থেকে শুরু করে অনুপ্রবেশকারীরা ওপার বাংলা থেকে এসে ভোটার তালিকায় নাম তুলছে, এরকম চিত্র সামনে এসেছে। স্বাভাবিক ভাবেই একজন ব্যক্তি তিনি নিজেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে নীল বাতির গাড়ি নিয়ে কলকাতার মাটিতে ঘুরছেন, অথচ এতদিন পর পুলিশের তা নজরে এলো, আর তিনি যে এই রাজ্যেরই বাসিন্দা, তার গ্যারান্টি কোথায়? যেভাবে চারিদিকে ভোটের আগে রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারীদের বাংলার ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি, তাতে এই সমস্ত ব্যক্তিরাও সেই ভুয়ো তালিকার মধ্যে নেই তো? তাই স্বাভাবিকভাবেই এদেরকে পুলিশি জেরার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখলে হবে না। এই সমস্ত সন্দেহজনক ব্যক্তিদের টাইট দিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই আসল পদক্ষেপ নিতে হবে বলে দাবি করছেন বিরোধীরা।
তবে যে ব্যক্তিকে পুলিশ ধরেছে, তার সম্পর্কে কি তথ্য উদ্ধার হয়, তিনি কেন নীল বাতির গাড়ি ব্যবহার করেছিলেন, কেনই বা নিজেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক বলে পরিচয় দিলেন! এর পেছনে কোনো গোপন রহস্য আছে কিনা, সেদিকেই নজর গোটা রাজ্যবাসীর। তবে দিনের শেষে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গ সত্যিই এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা অনুযায়ী, ওই ভগবানের ভরসাতেই চলছে। তা না হলে একের পর এক এইরকম আইন হাতে তুলে নেওয়ার মত ঘটনা প্রতিনিয়ত বাংলায় ঘটতে পারে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।