প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যারাই শাসকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তাদের কপালেই জুটবে মার। হয় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হবে, তা না হলে তৃণমূল নেতারা তাদেরকে হেনস্থা করবেন। এটাই বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। রাজ্যে একের পর এক খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে গেলেও তা আটকাতে তৃণমূল এবং প্রশাসন কার্যত ব্যর্থ বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের। তবে চাকরির জন্য টাকা নেওয়ার পর সেই টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে যেভাবে এক মহিলাকে মারধরের শিকার হতে হলো, তার ফলে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় রীতিমত চাপে পড়ে গেল এই রাজ্যের শাসক দল। কি ঘটনা ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার মোহনপুরের শিউলি এলাকায় এদিন ঘটে গিয়েছে বড় ঘটনা। যেখানে এক মহিলার কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে। আর সেই মহিলা এবার নিজের দেওয়া সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলেই তাকে মারধর করেন মোহনপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার স্বামী। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই সেই তৃণমূল নেতার ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, কেন একজন সাধারন মানুষের কাছ থেকে একজন নিরীহ মহিলার কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে এই তৃণমূল নেতা টাকা নেবেন? আর সেই মহিলা যদি সেই টাকা ফেরত চাইতে যান, তাহলে কেন তাকে সেই টাকা না দিয়ে উল্টে তাকে মারধর করা হবে! কে এত বড় সাহস দিলো সেই তৃণমূল নেতাকে?

যদিও বা ইতিমধ্যেই পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সহিদুল গাজি এবং তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই যে পুলিশের এই গ্রেফতারি, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য যে, কিছুদিন পরে হয়ত এই সমস্ত তৃণমূল নেতাকে ছেড়ে দেবে পুলিশ। কারণ রাজ্যজুড়ে যেভাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতেই পুলিশের যে এই নাটক গ্রেফতারি, তা সকলের কাছেই পরিষ্কার। যে পুলিশের মেরুদন্ড নেই, যে পুলিশ আইন-শৃংখলার সমাধান করতে পারে না, তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে পারে না, তাদের যে তৃণমূলের কোনো নেতার বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো সাহস নেই, তা স্পষ্ট। তাই এই সমস্ত গ্রেফতারি আসলে লোক দেখানো। যতক্ষণ না এই তৃণমূল নামক আবর্জনাকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরানো যায়, ততদিন কোনো মানুষ কোনো সুবিচার পাবেন না বলেই দাবি বিরোধীদের।