প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে প্রতিমুহূর্তে বলদাতে শুরু করেছে রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে রাজনৈতিক অংক এবং কি ফলাফল হবে, তা কেউ জানে না। কিন্তু তার আগে থেকেই যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু কোন রাজ্য নিয়ে কথা হচ্ছে? যে রাজ্য নিয়ে কথা হচ্ছে, তা হলো, বিহার। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসন ভাগাভাগি নিয়ে যে ফর্মুলা শুরু হয়েছে, তাতে বার বার করে দলবদল করা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে চাপে রেখে বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে বিজেপি বলেই মনে করছেন একাংশ।

 

বলা বাহুল্য, এই বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মোট ২৪৩ টি আসন রয়েছে। যেখানে নিতীশ কুমারের জেডিইউ ১০২ থেকে ১০৩ টি আসনে এবার লড়াই করতে পারে। অন্যদিকে বিজেপি লড়াই করতে পারে ১০১ থেকে ১০২ টি আসনে। আর যে ৪০ টি আসন বাকি রয়েছে, তা ভাগাভাগি হতে পারে চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি, আরএলএম এবং হাম দলের মধ্যে। তবে যে ৪০ টি আসন ভাগাভাগি হবে, সেখানে সবথেকে বেশি আসন পেতে পারেন চিরাগ পাসওয়ানের এই লোক জনশক্তি পার্টি। তাদের ২৫ থেকে ২৮ টি আসন দেওয়া হতে পারে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এখানেই একাংশ বলছেন যে, এই কৌশল প্রয়োগ করেই নীতীশ কুমারের ওপর চাপ রাখতে পারে বিজেপি।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, নীতীশ কুমারের ওপর সহজে কেউ ভরসা রাখতে পারেন না। কারণ তিনি কখন কোন দিকে যাবেন, তা নিয়ে কেউ নিশ্চিন্ত নন। তাই সরকার গঠনের পর নীতীশ কুমার যদি তেমন কোনো পদক্ষেপ নেন এবং আবার দল বদলের মত কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে চাপে পড়ে যেতে পারে বিজেপি। তাই আগে থেকেই ঘর গোছানোর ক্ষেত্রে সমস্ত রকম ফর্মুলা কষে নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। যার ফলে যে ৪০ টি আসন নিয়ে দর কষাকষি শুরু হয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে বেশি আসন নিজের বিশ্বস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চিরাগ পাসওয়ানের দল লোক জনশক্তি পার্টিকেই দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। কারণ তাহলে পরবর্তীতে যদি নীতীশ কুমার বেকেও বসেন, যদি দলবদলের মত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েও নেন, তাহলে যাতে চাপে পড়তে না হয়, তার জন্যই আগেভাগে বুঝে শুনেই এই পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা প্রকট হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।