এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভা মিটতেই বিধানসভা নিয়ে নতুন টার্গেট পূরণের লক্ষ্যে নামল বিজেপি

লোকসভা মিটতেই বিধানসভা নিয়ে নতুন টার্গেট পূরণের লক্ষ্যে নামল বিজেপি


এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলার প্রতি বাড়তি নজর দিয়েছিল। 42 টি আসনের মধ্যে 23 টি আসন দখলের টার্গেট দেওয়া হয়েছিল রাজ্য নেতৃত্বকে। তবে 23 টি আসন দখল করতে না পারলেও 18 টি আসন নিজেদের দখলে এনে শাসক দল তৃণমূলের নেতাদের কপালের ঘাম ঝরিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

আর লোকসভায় বিজেপির ভালো করার পর এবার আগামী 2021 সালের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলই তাদের প্রধান টার্গেট বলে জানিয়ে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। বস্তুত, লোকসভা ভিত্তিক ফল হিসাব করলে দেখা যাবে যে, এখনও পর্যন্ত বিজেপি 129 টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

তবে ক্ষমতা দখল করতে গেলে তাদের আরও 51 টি আসন নিজেদের দখলে নিয়ে আসতে হবে। হাতে রয়েছে আর দুটি বছর। তারপরই বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই তার আগে এবার রাজ্যে নিজেদের সংগঠনকে আরও পাকাপোক্ত করে নিতে উদ্যোগী গেরুয়া শিবির।

কিন্তু যেখানে প্রায়শই শাসক দল তৃণমূলের সন্ত্রাস রয়েছে এবং বিরোধীরা ঠিকমত নিজেদের রাজনৈতিক প্রচার করতে পারছে না বলে অভিযোগ করে বিজেপি, সেখানে দুই বছরের মধ্যে তারা সারা রাজ্যে ঠিকমতো সংগঠন গড়ে তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে আদৌ কি সক্ষম হবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আগামী 13 ই জুন কলকাতার মাহেশ্বরী ভবনে রাজ্য বিজেপির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা সহ অন্যান্যরা।

তবে এই বৈঠকেই বাংলায় বিজেপির সংগঠনের রদবদলের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, রাজ্যের 15 থেকে 20 জন বিজেপির জেলা সভাপতিকে লোকসভা নির্বাচনে ঠিক মত কাজ না করার জন্য সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা পদে থাকা দেবশ্রী চৌধুরীর জায়গায় আরএসএস ঘনিষ্ঠ রন্তিদেব সেনগুপ্ত এবং তুষার কান্তি ঘোষকে আনার ব্যাপারে কথা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সাংসদ হওয়াতে এবার তার জায়গায় অন্য কাউকে আনা হতে পারে।

তাহলে কি অবশেষে বিজেপির রাজ্য সংগঠন এবং জেলা সংগঠনে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আরও মজবুত লড়াই দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হচ্ছে? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “4 তারিখের বৈঠক সম্পূর্ণরূপে রুটিন বৈঠক। তবে সাংগঠনিক স্তরে কিছু রদবদল হবে। অমিত শাহ আমাদের বিধানসভায় 180 আসন বেঁধে দিয়েছেন। সেই টার্গেট পূরণ করাই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।”

সব মিলিয়ে লোকসভার পর এবার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বাংলায় আসন সংখ্যা নিয়ে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া টার্গেট পূরণ করতে এখন থেকেই লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!