এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > জেলা সভাপতির ডাকা বৈঠকে গরহাজির বহু বিধায়ক, মুকুলের দাবি কি সত্যির পথে? জল্পনা তুঙ্গে

জেলা সভাপতির ডাকা বৈঠকে গরহাজির বহু বিধায়ক, মুকুলের দাবি কি সত্যির পথে? জল্পনা তুঙ্গে


লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির অভূতপূর্ব ফলাফলের পরই বঙ্গ বিজেপির চানক্য মুকুল রায় দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের অনেক নেতা, বিধায়করা তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিছুদিনের মধ্যেই তারা বিজেপিতে যোগদান করবেন। আর মুকুল রায়ের এই দাবিকে সত্যি করে কিছুদিন আগেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে বেশকিছু বিধায়ক এবং রাজ্যের বেশ কিছু পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা পদ্ম শিবিরের পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন।

তবে এখানেই শেষ নয়, ভবিষ্যতে আরও অনেক বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করবে বলে জানিয়েছেন এই হেভিওয়েট নেতা। আর দিকে দিকে দলবদলের হিড়িকে যখন প্রবল জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে, ঠিক তখনই এবার কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ডাকা বৈঠকে সেই কোচবিহারের অনেক তৃণমূল বিধায়ক উপস্থিত না থাকায় তাদের দলবদলের জল্পনাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করল।

বস্তুত নির্বাচনের আগে থেকেই এবার কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। আর প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে টিকিট না দেওয়ায় এবং বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে এবারের নির্বাচনে দাঁড় করানোয় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অনেকেই। অন্যদিকে তৃণমূলেরই প্রাক্তন যুবনেতা নিশীথ প্রামাণিক বিজেপির পক্ষ থেকে দাঁড়ানোয় এই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রটি শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি তৃণমূল। যেখানে শেষ হাসি এসেছে সেই বিজেপিই।

আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে এবার ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর এদিন সকালে জেলার দলীয় দপ্তরে সমস্ত বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তবে আশ্চর্যজনকভাবে সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল জেলার চার বিধায়ককে। যার মধ্যে কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, মাথাভাঙার বিধায়ক তথা দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বিনয় বর্মন, তুফানগঞ্জের বিধায়ক ফজলে করিম মিয়া এবং দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকেন এই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। জানা গেছে, সেই সমস্ত বিধায়কদের তরফেই জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ইস্তফার দাবি করা হয়েছে। তাহলে কি দলে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষের জেরেই বিধায়ক এবং নেতারা এই বৈঠকে উপস্থিত হননি?

এদিন এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “শারীরিক অসুস্থতার জন্য বৈঠকে আসেননি উদয়ন গুহ। দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বিনয় বর্মন কলকাতায় ছিলেন। আর আমাকে সভাপতি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই যারা আমার পদত্যাগ দাবি করছেন, তারা নিজেদের এলাকায় ভোটের কাজই সঠিকভাবে করতে পারেননি।”

কিন্তু মুখে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নানা ফিরিস্তি দিলেও যেভাবে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অতীতে লক্ষ্য করা গেছে, সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই যদি বজায় থাকতে শুরু করে তাহলে বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায়ের কথাই কি এবার বাস্তব রূপ পেতে চলেছে! তাহলে কি জেলা সভাপতির ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত থেকে কোচবিহার জেলার অনেক বিধায়ক এবং নেতারা দলবদলেরই বার্তা দিলেন! জল্পনা তুঙ্গে।যদিও এই নিয়ে বিধায়করা এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!