আমরা যত আবর্জনা তাড়াচ্ছি, সেগুলিই বিজেপিতে রত্ন হিসেবে ঢুকছে – তারা কিছু করতে পারবে না: যুবরাজ কলকাতা রাজ্য January 11, 2019 একের পর এক দলীয় সাংসদরা যখন বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন ঠিক তখনই সেই সমস্ত কিছুকে পাত্তা না দিয়ে আগামী উনিশে জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশকে সার্থক করতে জেলায় জেলায় প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছেন তৃনমূলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারাদেশে বিজেপি বিরোধিতা অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিকে 2019 র লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করতে সমস্ত বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বিরোধী মহাজোটও গড়ে তোলা হয়েছে। আর এই বিরোধী মহাজোটে আরও শান দিতে আগামী 19 শে জানুয়ারি সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের আহ্বান জানানো হয়েছে তৃণমূলের ডাকা কলকাতার এই ব্রিগেড সমাবেশে। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন বাকি আছে সেই সমাবেশের। আর এরই মাঝে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কিন্তু তাতে যে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছুই এসে যায় না তা বারেবারেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। আরিফ আরিফ আগামী 19 শে জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় হাওড়া কুলগাছিয়া সভা থেকে ফের সেই দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া নেতা-সাংসদদের “আবর্জনা” বলে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে প্রবল তোপ দাগলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিনের সভায় অভিষেক বাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, জেলা তৃণমূল সভাপতি (গ্রামীণ) পুলক রায়, রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্রীড়া দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা, শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নির্মল মাজি সহ শাসক দলের একাধিক নেতা এবং বিধায়করা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিনের তৃণমূলের এই সমাবেশে সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আর এই সভাতে উপস্থিত হয়েই প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গেল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আগামী দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী করানোর আহবান জানিয়ে নাম না করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের উদ্দেশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জঞ্জাল সাফাই হয়েছে। তৃণমূলের আবর্জনা এখন বিজেপির রত্ন। আমরা যত আবর্জনা তাড়াচ্ছি। সেগুলিই বিজেপিতে রত্ন হিসেবে ঢুকছে। কিন্তু ওরা কিছুই করতে পারবে না।” এদিকে সিবিআই, ইডির ভয় দেখিয়ে যে তৃণমূলকে দমানো যাবে না এদিন সেই প্রসঙ্গেও বিজেপির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি ছুড়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ভারতের মুক্তিসূর্য হিসেবেও অভিহিত করেন এই তৃণমূল সাংসদ। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে যখন বিজেপি বিরোধীতার তীব্র সব ফুটে উঠছে ঠিক তখনই সিপিএম ও বিজেপিকে একযোগে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, “সিপিএম এখন লুপ্তপ্রায় দলে পরিণত হয়েছে। বিজেপি গোটা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আমরা চ্যালেঞ্জ করছি এই রাজ্য থেকে এবার বিজেপি একটা আসন পেয়ে দেখাক। রাজ্যের সবকটি আসন সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই তুলে দেবেন।” অন্যদিকে এদিনের সভা থেকে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভবিষ্যতে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী রূপে দেখবার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানান রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে হাওড়া থেকে যে মানুষ যাবে তাতেই আগামী উনিশে জানুয়ারি অর্ধেক ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ভরে যাবে বলে আত্মপ্রত্যয়ের শোনা যায় অরূপ রায়ের গলাতে। সব মিলিয়ে এবার ব্রিগেডের জনসভার প্রস্তুতি সভায় গিয়ে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের হেভিওয়েটরা। আপনার মতামত জানান -