প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগে আন্দোলন থেকে উঠে এসেছেন। তাকে আন্দোলন করার সময় নাকি বাম সরকার বিভিন্নভাবে বাধা দিয়েছিল। তবে তার সরকারের আমলে আন্দোলন প্রতিবাদ করার অধিকার নাকি সকলের রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সভা সমিতিতে সেটাই বলেন। কিন্তু বাস্তবে এই রাজ্যের বর্তমান সরকার এবং প্রশাসনের আমলে যেভাবে প্রতিবাদীদের কন্ঠরুদ্ধ হচ্ছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে, এসব কি হচ্ছে রাজ্যে? গণতান্ত্রিক বিষয়ে কি নিজেদের প্রতিবাদটুকু জানানোর অধিকার নেই সাধারণ মানুষের? দুষ্কৃতীরা কি করে এত সাহস পেয়ে যাচ্ছে যে, সামান্য প্রতিবাদ করতে গেলে মার খেতে হচ্ছে যুবককে?
কি ঘটনা ঘটেছে? জানা গিয়েছে, মদ্যপ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলার এক যুবক। আর কেন তিনি প্রতিবাদ করেছেন, সেজন্যেই সায়েম খান নামে সেই যুবককে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরবর্তীতে তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আর এই ঘটনার পরেই রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। যুবকের মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরবর্তীতে পুলিশ এলে পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে আসে।
তবে এই ঘটনার পরেই উঠছে বিভিন্ন প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, যে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এত শক্তিশালী বলে দাবি করা হয়, সেই রাজ্যে কেন সামান্য প্রতিবাদ করার জন্য এক তরতাজা যুবকের মৃত্যু হবে? অবশ্য অপরাধীদের দেখলে যে পুলিশ টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়ে, সেই পুলিশের যে সেই অপরাধীদের চুলের মুঠি ধরে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা নেই, তা তো বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে পরিষ্কার। অন্তত তেমনটাই পর্যবেক্ষণ বিরোধীদের। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এখন প্রতিবাদীরা নয়, সত্যি কথা বলা মানুষরা নয়, বরঞ্চ যারা অপরাধ করবে, যারা খুন, ডাকাতি করবে, যারা নারীদের সম্ভ্রম নিয়ে ছেলে খেলা করবে, তারাই এখন এই রাজ্যের বড় সম্পদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে একেবারে ভেঙে পড়েছে, তা এই ঘটনার মধ্য দিয়েই পরিষ্কার। কিন্তু দুষ্কৃতীরা কেন এত সাহস পাচ্ছে? বিরোধীদের মতে, প্রশাসনের কোনো একটা মহল থেকে তাদের ওপর আশীর্বাদের হাত রয়েছে। সেই কারণে এই রাজ্যে এখন প্রতিবাদ করলেই তাদের কপালে মার জুটছে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধী, দুষ্কৃতীদের মারে প্রাণ হারাতে হচ্ছে নিরীহ সাধারণ মানুষকে। কিন্তু যারা সামান্য প্রতিবাদ করার কারণে প্রাণ হারালেন, যে যুবক আজকে মৃত্যু মুখে পতিত হলেন, তার পরিবারকে জবাব দেওয়ার মত ক্ষমতা প্রশাসনের রয়েছে কি? কেন যখন ঘটনা ঘটছিল, তখন প্রশাসন এলাকায় পৌঁছে যায়নি? তাহলেই তো এই যুবককে বাঁচানো যেত? কেন বহু সময় পরে প্রশাসনের এত সক্রিয়তা নজরে এলো? প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।