প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। দৈনন্দিন জীবনযাপন করতে গিয়েও কখন তারা কোথায় বিপদের মুখে পড়বেন, তা নিজেরাও জানেন না। কারণ মানুষের বসবাসের ক্ষেত্রে যে সমস্ত নিয়ম পালন করা দরকার, অনেক ক্ষেত্রেই তা বর্তমান সময়ে করা হয় না। যার ফলে শহর কলকাতার একাধিক জায়গায় মাঝেমধ্যেই ঘটতে দেখা যাচ্ছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মত ঘটনা। আর এবার দুই জায়গায় আগুন লেগে যাওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যটা কি জতুগৃহে পরিণত হয়ে গেল? আদৌ কি রয়েছে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা?

জানা গিয়েছে, চক্রবেরিয়ায় হঠাৎ করেই মধ্যরাতে একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয় সাধারণ মানুষদের মধ্যে। পরবর্তীতে তারা নিরাপদে হোটেল থেকে বাড়িয়ে আসেন। আবার তোপসিয়ায় একটি বহুতলে ডেকরেটর সংস্থার গোডাউনেও ঘটে যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। তবে আস্থার খবর এতটাই যে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাতেও তেমনভাবে কেউ আহত হননি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, এভাবেই যদি একের পর এক হোটেলে বা বাস করার জায়গায় আগুন লাগতে শুরু করে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?

বিরোধীদের দাবি, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে। প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ। তারা জানেও না, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা কোথায় আছে, কোথায় নেই। আদৌ এই সমস্ত হোটেল গুলিতে ঠিকমতো মানুষের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা আছে কিনা, তা আগে খতিয়ে রাখা উচিত ছিল প্রশাসনের। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক কালে শহর কলকাতায় একাধিক জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে সেফটি, সিকিউরিটি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর আবার একই দিনে দুই জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিঃসন্দেহে মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বরের কৃপায় হয়ত কেউ সেভাবে আহত হননি।

কিন্তু যেভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তাতে তো বড় কিছু হয়ে যেতে পারতো! তাহলে সেই মানুষগুলোর প্রাণের মূল্য কি দিতে পারতো হোটেল কর্তৃপক্ষ? কেন বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করার দিকে নজর দিচ্ছে না প্রশাসন? যেভাবে শহর কলকাতায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, তাতে তিলোত্তমা এখন জতুগৃহে পরিণত হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।