প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভাইরাল অডিও ক্লিপ কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হননি। কিন্তু যে বোলপুরের আইসিকে তিনি গালিগালাজ করেছেন, সেই আইসির ফোন বাজেয়াপ্ত করে ফেলেছে পুলিশ। আর কতটা নির্লজ্জ হবে এই রাজ্যের পুলিশ? কেন এই তৃণমূল নেতাকে ছাড় দিয়ে রাখা হয়েছে! সেই প্রশ্ন সকলের মধ্যেই রয়েছে। আর তার মধ্যেই এবার যে চাঞ্চল্যকর তথ্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ফাঁস করে দিলেন, তা যদি বাস্তব হয়, তাহলে তো ২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে তা অত্যন্ত মারাত্মক হয়ে আসতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বলেই মনে করছেন একাংশ। কিন্তু কি সেই তথ্য?
জানা গিয়েছে, গতকাল নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের আমড়াতলা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে যে ৪১ জন জয়ী হয়েছেন, তাদের সংবর্ধনা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখান থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমি অনেকদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছি, অনুব্রত মণ্ডল মমতা ব্যানার্জির ভাই। তার কিছু হবে না। ওই বেচারী পুলিশ কর্মীর বিপদ আসবে। তার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় বিচার বসবে, তাকে সাসপেন্ড করবে। কারণ ওই পুলিশকর্মী হিন্দু।”
আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন যে, শুভেন্দু অধিকারীর কথার সঙ্গে কিন্তু ঘটনার গতিপ্রকৃতির যথেষ্ট মিল রয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র জামিন অযোগ্য মামলায় রুজু করেই চুপচাপ মুখ বুজে থাকছে পুলিশ। কেন তাকে জেরা করার জন্য বাড়ি থেকে তুলে আনতে পারছে না? সেটা রাজ্যবাসীর মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। আর উল্টোদিকে যে আইসিকে গালিগালাজ খেতে হলো, তার ফোন বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। এখন তদন্তের জন্য পুলিশ যা খুশি তাই করতে পারে। কিন্তু যদি আইসির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হয়, তাহলে কেন অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়? শুধুমাত্র তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আস্থা ভাজন বলেই কি তাকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে?
বিরোধীদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী একটা মারাত্মক কথা বলেছেন। এই রাজ্যে তো সত্যিই হিন্দুদের নিরাপত্তা বলে দিতে কিছু নেই। যদি এই পুলিশকর্মী অন্য একটি বিশেষ নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের হতেন, তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারতেন? পারতেন না। কারণ তার কাছে ভোটব্যাংক বড়ই বালাই। তখন হয়ত অনুব্রত মণ্ডলকেই বেশি করে শাস্তির মুখে পড়তে হত। আজকে এই পুলিশকর্মী হিন্দু বলেই কি তার ওপর এই নির্যাতন? তার মা -বউ তুলে একজন তৃণমূল নেতা গালিগালাজ করলেন, আর সেই তৃণমূল নেতা ভোট লুট করেন বলেই কি সেই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে এত বড় অপরাধের পরেও কেষ্ট মন্ডলকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্নটা তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।