প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এবার এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যে সিদ্ধান্তে চমকে উঠছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন সময় তার বিভিন্ন বক্তব্য এবং সিদ্ধান্ত প্রভাব ফেলেছে গোটা বিশ্বে। আর এবার হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তা রীতিমত চমকে দেওয়ার মত। কিন্তু যে সমস্ত দেশের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে কি রয়েছে ভারতবর্ষও? কিন্তু কি এমন নিষেধাজ্ঞা, যা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে গোটা বিশ্ব!

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে ১২টি দেশের নাগরিকদের আর আমেরিকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। আর এই ১২ টি দেশের মধ্যে রয়েছে, আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাঁদ রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ইকিউটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন এবং সুদান। শুধু তাই নয়, আরও ৭ টি দেশ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, ভেনেজুয়েলা এবং সিয়েরা লিওনের মত দেশের যারা নাগরিক রয়েছেন, তাদের আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ এতগুলো দেশের নাগরিকদের কেন আমেরিকায় আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো? কি চিন্তা ভাবনা করছেন ট্রাম্প?

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে তিনি লেখেন, “আমরা এমন কোনো দেশ থেকে অভিবাসীদের ঢুকতে দিতে পারি না, যেখানে আমরা নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য কিছু যাচাই করতে পারি না। সেই কারণেই আমি কয়েকটি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটি নতুন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে চলেছি।” অন্যদিকে আমেরিকায় এসে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা যে ক্ষতি করতে চেয়েছিল, সেক্ষেত্রে দেশকে রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের বলে জানিয়ে দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র।

একাংশ বলছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কার্যকরী এবং নিজের দেশকে রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। কেননা সম্প্রতি একটি শপিং মলের বাইরে যে সমস্ত ইজরায়েলরা পনবন্দী ছিলেন, গাজায় তাদের সমর্থনে যে জমায়েত হয়েছিল, সেখানে মিশরের এক নাগরিকের পক্ষ থেকে ফায়ার বম্ব চালানোর অভিযোগ ওঠে। যার পর থেকেই আরও তৎপর হয়ে উঠেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তাই এবার নিজের দেশকে রক্ষা করতে, বিদেশী শত্রুদের হাত থেকে দেশের নাগরিকদের নিরাপদে রাখতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে একাধিক দেশের ক্ষেত্রে এই দেশে থাকা জারি হলেও ভারত কিন্তু এক্ষেত্রে নিশ্চিন্তেই রয়েছে। ভারতের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু দেশের ক্ষেত্রে এরকম কোনো নির্দেশিকা বা নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি ট্রাম্প প্রশাসন।