এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > আক্রান্ত হেভিওয়েট বিজেপি নেতা, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে! জোর শোরগোল!

আক্রান্ত হেভিওয়েট বিজেপি নেতা, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে! জোর শোরগোল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। বিরোধী নেতাকর্মীরা সব সময় আক্রান্ত হচ্ছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। লকডাউনের কারনে সাম্প্রতিক কালে সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং মাঠে-ময়দানে বেরোনো কিছুদিনের জন্য বন্ধ হলেও, বর্তমানে সেই লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়াতে ফের ময়দানে নামতে শুরু করেছে শাসক থেকে বিরোধী। আর একটু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে না হতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ময়দানে নামতে শুরু করেছে।

শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করছে। যার ফলে উত্তেজনা বাড়ছে। বাড়ছে তরজা। আর এই পরিস্থিতিতে এবার দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে আক্রান্ত হলেন এক বিজেপি নেতা। যে ঘটনায় অভিযোগের তীর রয়েছে তৃণমূলের দিকে। আর এতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

জানা যায়, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের কল্যাণপুরের বাসিন্দা সুদীপ মুখোপাধ্যায় নামে এক বিজেপি নেতা বৃহস্পতিবার বিকেলে গৃহ সম্পর্ক অভিযান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি এবং তার দুই সঙ্গী বাইকে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। আর সেই সময়ই তাদের পথ আটকে 25-30 জন দুষ্কৃতী মিলে তাদের ওপর ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই গোটা ঘটনায় গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় এবং তার দুই সঙ্গী। বর্তমানে তাদের তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিজেপি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কল্যাণপুরে তেমাথা মোড়ে তৃণমূলের প্রায় 25-30 জন লাঠি নিয়ে আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। সুনীল এবং পারভেজ আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে ওদের দুজনকেও বেধড়ক পেটায়। তারপরেই রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়।”

এদিকে এই ঘটনায় শুক্রবার লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে শাসকদল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দিন যাচ্ছে, তত এগিয়ে আসছে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচন। শাসকদল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপি দুজনেই চেষ্টা করছে, এবার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে। সেদিক থেকে তাদের মধ্যে লড়াই জমে উঠেছে।

আর তাই বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় সেই রাজনৈতিক লড়াই লড়তে গিয়ে তা সংঘর্ষ এবং হাতাহাতিতে পৌঁছে যাচ্ছে। আর তার ফলস্বরূপ এই ঘটনা ঘটল বলে দাবি একাংশের। তবে এভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেমন ভেঙে পড়বে, ঠিক তেমনই রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। তাই রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করেই সকলের লড়া উচিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!