চাকরির নামে প্রতারণাচক্র টাকা হাতিয়ে দম্পতিকে খুন! দলীয় নেতার গ্রেপ্তারি অস্বস্তিতে বিজেপি বিজেপি রাজনীতি রাজ্য May 14, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী আসন দখল করার পর থেকেই নানা বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে। দলীয় স্তরে যেমন খারাপ ফলাফল করবার জন্য দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে কিছু নেতা সোচ্চার হতে শুরু করেছেন, ঠিক তেমনই অন্যান্য নানা ঘটনায় নাম জানাতে শুরু করেছে বিজেপি নেতাদের। আর এবার এক বিজেপি নেতার ভাড়া বাড়ি থেকে এক দম্পতির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল মালদহ জেলার গাজোল এলাকায়। অভিযোগ, এক বিজেপি নেতা এই দম্পতিকে সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই দম্পতি অভিযুক্ত বিজেপি নেতার সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরোনোর পড়ে আর তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে সেই দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। আর এই ঘটনাতে রীতিমত অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। জানা গেছে, গত 8 তারিখে গৌতম সরকার এবং তার সহধর্মিনী তাপসী সরকার গাজোলের বিজেপি নেতা কৃষ্ণকমল অধিকারীর সঙ্গে সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণ নিতে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু পরদিন কৃষ্ণকমল অধিকারী বাড়ি ফিরে আসলেও সেই দম্পতির খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে সেই বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সেই দম্পতির বাড়ির এলাকার বাসিন্দারা। আর এরপরই সেই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দম্পতির বাড়ি যে উত্তর দিনাজপুর এলাকায়, সেখানে ইটাহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকের দাবি, এই গোটা ঘটনার পেছনে বিজেপি নেতা কৃষ্ণ কমল অধিকারী জড়িত রয়েছেন। তিনি সেই দম্পতিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে একটি ঘর থেকে এই দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কৃষ্ণকমল অধিকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যার ফলে এখন রীতিমত অস্বস্তিতে ভারতীয় জনতা পার্টি। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, এতদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ সহ চাকরিতে দুর্নীতি, নানা অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যেত ভারতীয় জনতা পার্টিকে। এমনকি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো অভিযোগ তৃণমূলের নানা নেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু রাজ্যে খাতায়-কলমে বিজেপি বিরোধী দল হওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে তাদের এক নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টি যথেষ্ট চাপে পড়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, এখন থেকেই যদি বিজেপি নেতারা এইভাবে নানা অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িত হতে শুরু করেন, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের প্রতি কিভাবে ভরসা করবেন সাধারণ মানুষ, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে জনমানসে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দলীয় নেতার গ্রেপ্তারিতে বিজেপি ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -