প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় বলেন, তার সরকারের আমলে নাকি সব কাজ হয়ে গিয়েছে! কোথাও নাকি কোনো উন্নয়ন বাকি নেই! রাস্তাঘাট ঝা চকচকে, মা-বোনেরা সুরক্ষিত, বেকাররা চাকরি পাচ্ছে, বিভিন্ন দিক থেকে রাজ্য ফুলে ফলে ভরে উঠেছে। তবে এই সমস্ত কথা যে প্রত্যেকটাই উল্টো, তা তো রাজ্যবাসী নিজেদের জীবন যন্ত্রণা দিয়ে উপভোগ করছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়নের কথা বলেন, এবার সেই উন্নয়নের এক ভয়ংকর চিত্র উঠে এলো রাজ্যের মানুষের সামনে।

ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার রাস্তার যে ভয়ংকর দশা, তা খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। যেখানে পিন্ডরুই এলাকার প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার কার্যত ভগ্ন দশা। সাধারণ মানুষ যাতায়াত পর্যন্ত করতে পারতেন না। আর যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় দাবি করেন যে, রাজ্যের সব কাজ হয়ে গিয়েছে, সেখানে একটি ছোট্ট গ্রামের রাস্তার উন্নতি পর্যন্ত হয়নি! তারপরেও কেন এত বড় বড় গলায় বিভিন্ন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী? আদৌ কি সব খবর তার কাছে থাকে! নাকি নিজের প্রশাসনকে সেরা বানানোর জন্য, নিজেকে সবথেকে বেশি কাদের মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এই সমস্ত কথা বলেন তিনি?

তবে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার এই যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে অতিষ্ঠ গ্রামের বাসিন্দারা। তাই বাধ্য হয়ে এবার মমতা সরকার এবং প্রশাসনের মুখে কার্যত ঝামা ঘষে দিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। রাস্তা দিয়ে তো একেই তারা যাতায়াত করতে পারছেন না। তাই প্রতিবাদ স্বরূপ সেই রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষজন। কিন্তু এত কিছুর পরেও কি রাস্তা ঠিক হবে? কারণ যদি ঠিক করার মানসিকতা থাকত প্রশাসনের, তাহলে তো তারা এতদিনে ঠিক করে দিত!

এদিকে গোটা বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই রাজ্যের আর কোনো উন্নতি হবে না। রাজ্যে সুশাসন, পানীয় জল, রাস্তাঘাটের উন্নতি তৃণমূল করবে কিভাবে? সমস্ত টাকা তো নেতাদের পকেটে চলে যায়। গোটা রাজ্য চুরি, দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগের দিকে তাকানোর সময় তৃণমূল নেতাদের নেই। তাদের এখন বিদায়ের সময় চলে এসেছে। আগামী দিনে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে এবং গোটা রাজ্য জুড়ে মানুষের সুবিধার্থে সুশাসন দেওয়ার মত একাধিক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।