প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মিউল অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগে কলকাতায় চাঞ্চল্য। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ছয়জনকে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে হেস্টিংস থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার সনু হরি। অভিযোগ, এই মিউল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেনদেন, যার পরিমাণ কোটি কোটি টাকা।
ঘটনার সূত্রপাত গত এপ্রিল মাসে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বাগুইআটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, অন্তত ১৬টি অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেন লক্ষ্য করা গেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেফতার করে, যাঁরা প্রত্যেকেই কলকাতার বাসিন্দা। ধৃতদের বারাসত আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তদন্তকারীরা জানতে চান, এই চক্রের পিছনে কারা আছে এবং টাকা কোথায় পাচার হয়েছে।
জানা গেছে, সল্টলেকের পিএনবি মোড়ের এক বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে এই ভুয়ো লেনদেনের সূত্র পাওয়া যায়। পরে অভিযুক্তেরা আবার একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে এলে সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই মিউল অ্যাকাউন্টগুলি সাধারণত সাইবার জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত হয়। অনেক সময় অ্যাকাউন্টের আসল মালিকই জানেন না যে তাঁর অ্যাকাউন্ট অবৈধ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এই ঘটনার সঙ্গে জুড়ে উঠেছে আরও বড় অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিরোধীদের দাবি, শাসকদল নিজেদের অনুগামী ক্যাডারদের এই পদে ঢোকাচ্ছে। পার্মানেন্ট চাকরি না থাকায় তাদের দিয়ে টাকা তোলা, বেআইনি কাজ করানো হচ্ছে। ভোটের সময় এদের দিয়েই শাসকদলের জয় নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। আর পুলিশমন্ত্রী হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। ফলে গত ১৪ বছরে ধীরে ধীরে রাজ্যের পুলিশি কাঠামো ভেঙে পড়েছে—এই অভিযোগ আরও জোরাল হচ্ছে। এবার সেই প্রশ্ন—বঙ্গ জনতা কি এর যোগ্য জবাব দেবে ২৬-এর নির্বাচনে ইভিএমে?