এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও নীহাররঞ্জন ঘোষের তীব্র বিরোধে ডামাডোল মালদহ তৃণমূলে

কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও নীহাররঞ্জন ঘোষের তীব্র বিরোধে ডামাডোল মালদহ তৃণমূলে

আবার লেগে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলার দুই হেভিওয়েট নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও নীহাররঞ্জন ঘোষের মধ্যে। আর যার ফলে তীব্র ডামাডোল মালদহ তৃণমূল কংগ্রেসে, চরম অস্বস্তিতে শাসকদল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। একসময় ইংরেজবাজারে সর্বময় কর্তা ছিলেন কৃষ্ণেন্দুবাবু, পরে দলবদলে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেও তাঁর দাপট অব্যাহত থাকে। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী নীহাররঞ্জন ঘোষের কাছে। এরপরেই চাকা ঘুরতে থাকে, নীহারবাবু যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ফলে ইংরেজবাজার পুরসভাতে তাঁকে চেয়ারম্যান করে শাসকদল, গদি যায় কৃষ্ণেন্দুবাবুর। তখন থেকেই দুই নেতার মধ্যে অম্ল-মধুর সম্পর্ক বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। আর এবার পুরসভার বোর্ড অব কাউন্সিলারের (বিওসি) মিটিং ডাকা নিয়ে তুলকালাম দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই ব্যাপারে কৃষ্ণেন্দুবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং সিপিএম থেকে তৃণমূলে নাম লেখানো ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বর্ণালী হালদার কুণ্ডু।
কৃষ্ণেন্দুবাবুদের অভিযোগ, পুর আইনেই রয়েছে প্রত্যেক মাসে বিওসি করতে হবে। কিন্তু পুরপ্রধান নানা অজুহাত খাঁড়া করে পাঁচ মাস ধরে পুরসভার কোনও বিওসি করেননি। বিওসি হয়নি, কারও সঙ্গে কোনও আলোচনাও নেই অথচ বিওসির অনুমোদন ছাড়া শহরে কার্নিভাল হচ্ছে। বর্ণালীদেবীর কাউন্সিলার পদ নির্বাচন কমিশন খারিজ করেছে অথচ তাঁকে বিওসি সভায় ডেকেছেন পুরপ্রধান। আদালতের রায়ের বাইরে গিয়ে মিউটেশন ফির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন মহানন্দা নদী থেকে অবাধে মাটি কেটে শহরের রাস্তা দিয়ে নিয়ে গিয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের মদতে এলাকা ভরাট করা চলছে, পুরসভা নির্বিকার। এসব বোর্ড করতে পারে না, প্রয়োজনে আদালতে যাব। অন্যদিকে নীহারবাবুর বক্তব্য, বিওসি কেন করা যায়নি তা আমরা কাউন্সিলারদের চিঠি দিয়েই জানিয়ে দিয়েছিলাম। তারপরও প্রশ্ন তোলা অবান্তর। তবে কার্নিভালের সমস্ত খরচের হিসেব আমরা জানিয়ে দেব। সমস্ত নিয়ম মেনেই পুরসভায় কাজ চলছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!