এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হওয়ার পরই রাজ্যপাল জানালেন “ক্লোজড চ্যাপ্টার!” বাড়ছে জল্পনা

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হওয়ার পরই রাজ্যপাল জানালেন “ক্লোজড চ্যাপ্টার!” বাড়ছে জল্পনা


রাজ্য বনাম রাজ্যপালের তিক্ততার সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের কড়া সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যপালের করা নিয়োগকে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে সেখানে অন্য এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করে দেয় শিক্ষা দপ্তর। যার ফলে রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে শিক্ষা দপ্তরের কড়া সমালোচনা করা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে যখন রাজ্য বনাম রাজভবনের সম্পর্কে তীব্র দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে গোটা ব্যাপারে বিতর্কের অবসান ঘটালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এক ব্যক্তিকে বসিয়ে দেন। তার পরেই তার বিরোধিতা করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। এভাবে রাজ্যপালের নিয়ম মানা যাবে না বলে জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীতে রাজ্যপালের করা নিয়োগকে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়ে ডক্টর আশিস কুমার পানিগ্রাহীকে সেই পদে বসিয়ে দেয় শিক্ষা দপ্তর।

আর তারপরেই আচার্যের করা নিয়োগকে এভাবে খারিজ করা যায় না বলে পাল্টা রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। আর গোটা পরিস্থিতি এই অবস্থায় হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রাজ্য যখন নানাদিক থেকে বিপর্যস্ত, ঠিক তখনই এই বিতর্কে ইতি টানলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান জগদীপ ধনকর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রাজ্যপালের আর তারপরেই গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্লোজড চ্যাপ্টার বলে অভিহিত করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কে রাজ্যপাল এই বিষয় নিয়ে মুখ বন্ধ করার সাথে সাথেই তাকে পাল্টা কটাক্ষ করা বন্ধ করে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাহলে কি সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে রাজ্যপালের মতানৈক্য সম্পূর্ণরূপে মিটে গেল?

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজভবনে জগদীপ ধনকর বলেন, “করোনা এবং আমপান জনিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এখন শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন বিতর্কের সময় নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমি খুব ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি। আমি আত্মবিশ্বাসী, এমন বিতর্ক যাতে আবার মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য একটা পথ মুখ্যমন্ত্রী বের করবেন। আমি তার অঙ্গীকারের উপর ভরসা রাখছি। এই দুর্ভাগ্যজনক অধ্যায়ে আমি ইতি টেনে দিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিতর্ককে বোতলবন্দী করে দিয়েছি। যে ক্ষতের উপরে ব্যান্ডেজ করে ফেলা হয়েছে, তাকে আর খোঁচাতে চাই না। মুখ্যমন্ত্রী বিবেচনার ওপরই গোটা বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছি। আমরা দুজনেই একমত যে আমাদের কোনো মতবিরোধের আঁচ যেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে না পড়ে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যপাল এবং সরকার দুই পক্ষেরই উচিত, বর্তমান সময়ে বিবাদ না করে সমস্ত পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়া। সেদিক থেকে যখন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল বনাম শিক্ষামন্ত্রীর তরজা চরম আকার ধারণ করেছিল, তখন তা দেখে হতাশ হয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর যেভাবে গোটা বিষয়টি সমাধানের বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, তা দেখে আশ্বস্ত হচ্ছে গোটা রাজ্যবাসী। অনেকেই বলছেন, শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজ্য এবং রাজ্যপালের মধ্যে এইরুপ সমন্বয় বজায় থাকুক। তাহলেই এগিয়ে যাবে বাংলা।

এদিন শিক্ষামন্ত্রী সম্পর্কেও বেশ প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় একজন সজ্জন মানুষ। আমার ভালো বন্ধু। মন্ত্রিসভার তরফে রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এই নিয়ে কিছু বলতে চাই না।” বিশ্লেষকরা বলছেন, কখনও কখনও মানুষের স্বার্থে নীরবতা পালন করতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন বাংলা বিভিন্ন দিক থেকে বিপর্যস্ত, তখন এই ব্যাপারে বিরোধিতা না করে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করলেন রাজ্যপাল। এখন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী কথোপকথনের পর গোটা বিষয় আপাতভাবে সমাধান হয়ে গেলেও, তা কতটা সুদুরপ্রসারী হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!