প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে সাধারণ মানুষদের মধ্যেও। এই ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা অতটা না থাকলেও, ক্রমশ যেভাবে তা ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে কি আবার অতীতের তিক্ত স্মৃতি ফিরে আসবে? আবার কি হবে লকডাউন? এই সমস্ত আশঙ্কা সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে। সকলের মধ্যে একটাই বিষয় ঘোরাফেরা করছে যে, যদি লকডাউন করার মত পরিস্থিতি সত্যিই তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হয়, তাহলে আগে থেকেই ছোটো ছোটো বিধি নিষেধ জারি করা উচিত সরকারের। যাতে মানুষ আর অতীতের মত গৃহবন্দি থেকে অস্বস্তিতে না পড়েন। আর এসবের মধ্যেই এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে করোনা নিয়ে চলে এলো বড় আপডেট।

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া নতুন তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমানে গোটা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজার ১৩৩ জন মানুষ। শুধু তাই নয়, গত ২৪ ঘন্টায় এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জন ব্যক্তির। যা আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে গোটা দেশের মধ্যে কোন কোন রাজ্য করোনা আক্রান্তের দিক থেকে একদম শীর্ষে রয়েছে, সেই তথ্য দেখলে চিন্তা বাড়ছে বাংলার মানুষেরও। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে করোনা আক্রান্তের দিক থেকে একদম শীর্ষে রয়েছে কেরালা। আর তারপরেই রয়েছে গুজরাট পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি। স্বাভাবিকভাবেই যেভাবে আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আবার কি অনিবার্য হয়ে পড়বে লকডাউন? এই প্রশ্নই সব থেকে বেশি মাথাচাড়া দিচ্ছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিনে তো আক্রান্তের সংখ্যা আকাশ ছুঁয়ে যাবে না। তবে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এখন থেকেই লাগাম টানা উচিত। জনবহুল এলাকা এড়িয়ে যাওয়া উচিত সাধারণ মানুষের। এছাড়াও অতীতে করোনার সময় যে সমস্ত সচেতনতামূলক পদক্ষেপ সাধারণ মানুষ গ্রহণ করেছেন, তা আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা উচিত। এক্ষেত্রে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, লকডাউন হবে কি হবে না, সেটা তো ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু যে ভাইরাস বর্তমানে ভারতের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই করোনা ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা অত্যন্ত কম। যাদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তারাই একটু সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। তাছাড়া খুব সামান্য উপসর্গ নিয়ে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা করাতে আসছেন। তবে আক্রান্তের সংখ্যা একেবারে অতীতের মতই লক্ষ্যের বেশি ছুঁয়ে গেলে তখন আর কিছুই করার থাকবে না। তখন বাধ্য হয়েই বিধি নিষেধ জারি করতে হবে। তাই সময় থাকতেই সরকারের উচিত সাধারণ মানুষকে ছোট ছোট বিধি-নিষেধের মধ্য দিয়ে অভ্যস্ত করে তোলা। তাহলেই করোনাকে আটকানো সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকরা।