প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে দুই দেশ আলোচনার ভিত্তিতে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়। আর এই সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব প্রথম এসেছিল পাকিস্তানের পক্ষ থেকেই। কিন্তু সংঘর্ষ বিরতির দিন থেকেই দুই দেশ আগেভাগে কিছু না জানালেও, ক্রেডিট নিতে গিয়ে প্রথম থেকেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একটা দাবি করা শুরু করেন, যেন তিনিই এই সমস্যার সমাধান করেছেন। আর তারপর বারবার তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, তিনিই উদ্যোগ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা থামানোর জন্য সফল হয়েছেন। আর এবার এখানেই সেই ট্রাম্পের ক্রেডিট নেওয়ার এই সমস্ত দাবিকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করে বড় বার্তা দিলো ভারত।

সূত্রের খবর, এদিন নাম না করে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ক্রেডিট নিচ্ছেন, তাকে একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতিতে আমেরিকার কোনো ভূমিকা নেই। পাকিস্তানের অনুরোধে ভারত সদর্থক ভাবে সাড়া দিয়েছে। ব্যাস, আর কিছু না।” শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের পক্ষ থেকেই প্রথম এই সংঘর্ষ বিরতির জন্য অনুরোধ এসেছে ভারতের কাছে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন দেশের বিদেশ মন্ত্রী।

একাংশ বলছেন, প্রথম দিন থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প চেষ্টা করেছেন, ভারত-পাক যুদ্ধ বন্ধের ক্রেডিট নেওয়ার। অন্যান্য দেশের কাছেও নিজেকে বীর এবং মহৎ হিসেবে তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু এবার ভারত একেবারে প্রকাশ্যে যে কথা বলে দিলো, তাতে যদি লজ্জা থাকে, তাহলে আর ক্রেডিট নেওয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা অন্তত ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দেখতে পাওয়া যাবে না। হয়ত এত বড় কথা ভারতের পক্ষ থেকে বলার পর এযাবৎ কালের মধ্যে সবথেকে বড় অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর তার ক্রেডিট যেমন নস্যাৎ হয়ে গেল, ঠিক তেমনই মুখ শুকিয়ে গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।